থাইল্যান্ড থেকে অশোক স্তম্ভ অ্যাওয়ার্ড- ২০২২ পেলেন ভদন্ত এইচ মহিপাল থের। শাসন সদ্ধর্মের উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য থাই রাজ পরিবার কর্তৃক অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। বাংলাদেশী হিসেবে প্রথম এ অ্যাওয়ার্ড গ্রহন করেন ।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি )থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অবস্থিত ‘মহাচুলালংকারানরাজাবিদ্যালয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে’ এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। ভদন্ত এইচ মহিপাল স্থবির দীর্ঘদিন থাইল্যান্ডের বিখ্যাত ধম্মকায়া ফাউন্ডেশনে অবস্থান করে ধর্ম বিনয়ের উপর লেখা-পড়া করে বর্তমান অবধি সেখানে অবস্থান করে বিশ্বব্যাপী সদ্ধর্মের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।
ভদন্ত এইচ মহিপাল থের ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, শাসন স্বর্ধমের উন্নয়নে অবদানের জন্য থাইল্যান্ডে রাজকীয় আন্তর্জাতিক অশোক স্তম্ভ অ্যাওয়ার্ড বাংলাদেশীদের মধ্যে সর্ব প্রথম আমাকে প্রদান করাতে আমি রাজা- রানী, রাজকুমারী মহা চক্রী সিরিন্ধর্ন সোমসাওয়ালি ফ্রা ওওরারচাথিনাদ্দামত প্রতি মৈত্রীচিত্তে পূর্ণ্যদান করতেছি এবং বিনম্র বন্দনা জানাচ্ছি স্বদেশের পরম শ্রদ্ধেয় সংঘরাজ, উপ-সংঘরাজবৃন্দু, সংঘনায়ক, উপ-সংঘনায়ক বৃন্দু, মহান ভিক্ষু সংঘদের ও পরম শ্রদ্ধেয় লুম্প(বড় ভান্তে) ওয়াট নাকপ্রোকুক, পরম শ্রদ্ধেয় প্রয়াত গুরুদেব এইচ সুগতপ্রিয় মহাথেরো, প্রয়াত আজান ডেনিস ধর্ম্মানেসিয়ো থেরো, ফ্রা মহাবিরাওয়াট মহাথেরোকে এবং স্বর্গীয় পিতা মাতা, ভাইবোন, গ্রামবাসী, জ্ঞাতীবর্গ সহ সবাইকে মৈত্রীময় আর্শীবাদ ও পুর্ণ্যদান করতেছি। গুরুজনদের ও স্বর্গীয় পিতা মাতার আর্শীবাদে দীর্ঘ ৩১ বছর প্রব্রজ্যা ও ভিক্ষুত্ব জীবনের অতি কষ্টে আজ গৌরব দীপ্তময় এই অ্যাওয়ার্ড অর্জন করলাম, তাই রাজ রানী ও আয়োজন কমিটির সকলের প্রতি যথাযোগ্য বিনম্র বন্দনা, কৃতজ্ঞতা ও মৈত্রীময় আর্শীবাদ জানাচ্ছি। আজ এই গৌরব দীপ্তময় অ্যাওয়ার্ড অর্জনের মাধ্যমে আমি মনে করি শাসন স্বর্ধমের উন্নয়নে আমার গুরুদায়িত্ব আরো বেড়ে গেছে, তাই আমি আপ্রাণ চেষ্ঠা করে যাব, আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে।