ভদন্ত ড. জ্ঞানশ্রী মহাথের চট্টগ্রামবাসীর আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবেন বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ইং) রাত্রে সমাজসেবায় নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ড. জ্ঞানশ্রী মহাথের একুশে পদকের জন্য মনোনীত ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে উপরোক্ত মন্তব্য করেন সুজন।
তিনি আরো বলেন নন্দনকাননস্থ চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ, অগনিত প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ড. জ্ঞানশ্রী মহাথের ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের কল্যানে কাজ করে চলেছেন অদ্যাবধি। বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার, প্রসার ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের জন্য সেবার ব্রত নিয়ে ছুটে গিয়েছেন দেশে ও বিদেশে। জ্ঞানপিপাসু জ্ঞানশ্রী মহাথের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠা করেন ধর্মোদয় পালি টোল ও পার্বত্য চট্টল বৌদ্ধ অনাথ আশ্রম। অবহেলিত পিছিয়ে পড়া আদিবাসী বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় জ্ঞানপ্রভা বৃদ্ধির উত্তরণে ও সার্বিক জীবনযাপনে স্বাচ্ছন্দ্য আনয়নের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন তিনি। পার্বত্য চট্টল বৌদ্ধ অনাথ আশ্রম থেকেই ড. জ্ঞানশ্রী মহাথের অনেক মেধাবী সন্তানকে নিজের আদর্শে গড়ে তুলেছেন। এছাড়া অনাথদের জন্যও তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এরকম বহুগুণে গুণান্বিত ড. জ্ঞানশ্রী মহাথের এর মতো একজন সত্যিকারের সমাজসেবককে সরকার একুশে পদকের জন্য মনোনীত করার ফলে সমাজের নিভৃতিচারী সমাজসেবীরা নিঃসন্দেহে উদ্দীপনা পাবে। সুজন সুস্বাস্থ্য ও নিরাপদ জীবন কামনা করেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছ, সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেন, মোরশেদ আলম, মো. শাহজাহান, স্বরূপ দত্ত রাজু, মো. শাহজামাল প্রমূখ।