বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার দশম সংঘরাজ, মুক্তিযুদ্ধের আন্তর্জাতিক সংগঠক প্রয়াত জ্যোতিঃপাল মহাথের’র ১১১ তম জন্মদিন আজ।
সংঘরাজ জ্যোতিঃপাল মহাথের ১৯১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি কুমিল্লা জেলার, লাকসাম উপজেলার কেমতলী নামক গ্রামে এক বৌদ্ধ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম চন্দ্রমনি সিংহ,মাতার নাম দ্রৌপদী বালা সিংহ। তিনি পিতা-মাতার কনিষ্ঠতম সন্তান। তিনি বাংলাদশের বৌদ্ধদের ১০তম ধর্মীয় গুরু। তিনি ২০০২ সালের ১২ই এপ্রিল ৯২ বছর বয়সে মারা যান। তাকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি ২০১০ সালে একুশে পদক, ২০১১ সালে স্বাধীনতা পদক(মরনোত্তর) পান।[১] তিনি ২০০২ সালের ১২ই এপ্রিল ৯২ বছর বয়সে মারা যান।
দীক্ষা লাভঃ
তিনি ১৫ বছর বয়সে ১৯৩৩ সালে শ্রামণ্য ধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯৩৮ সালে তিনি উপসম্পদা গ্রহণ করেন, অর্থাৎ ভিক্ষু হন। তিনি পাহাড়তলি মহামুনি পালি কলেজ, কলকাতা ও নালন্দা বিদ্যাভবনে পালি ভাষা,সাহিত্য ইত্যাদি বিষয়ে প্রগাঢ় পান্ডিত্য অর্জন করেন। তিনি বাংলা,হিন্দি,পালি,ইংরেজি,সংস্কৃত ভাষায় দক্ষ ছিলেন।
সমাজসেবা ঃ
তিনি বহু জনহিতকর প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, যেমন,১৯৯১ সালে বালক উচ্চ বিদ্যালয়, ১৯৮২ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শান্তি প্যগোডা,বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়(বর্তমানে কলেজ),অনাথ আশ্রম ইত্যাদি।
স্বীকৃতি ও পুরস্কার ঃ
তাকে ১৯৯৫ সালে জাতিসংঘ বিশ্ব নাগরিক উপাধি দেয়। তিনি নালন্দা বিদ্যাভবন থেকে এিপিটক বিশারদ উপাধি পান। তিনি ২০১০ সালে একুশে পদক, ২০১১ সালে স্বাধীনতা পদক(মরনোত্তর) পান। তিনি মায়ানমার সরকার কর্তৃক ‘ অগ্গমহাদ্ধর্মজোতি কাধ্বজ’ উপাধিতে ভূষিত হন। তার নামে তার মন্দিরের নামকরণ করা হয়েছে ‘সংঘরাজ জ্যোতি:পাল মহাথের বৌদ্ধ মহাবিহার কমপ্লেক্স।