রাখাইনদের বৌদ্ধ বিহারগুলো কুয়াকাটার পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। কিন্তু দিন দিন দখল হয়ে যাচ্ছে বিহারগুলোর জায়গা। তাই দুশ্চিন্তায় রাখাইনরা। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকেও উল্লেখযোগ্য কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না।
লুমা রাখাইন। ঝোপ জঙ্গলের মাঝেই প্রার্থনা করেন। কারণ এখানে সমাধিস্থ ৯৫ বছরের পুরোনো গৌতম বুদ্ধের মূর্তি। লুমা রাখাইনের মত অনেকেই প্রার্থনা করতে আসেন পটুয়াখালির কলাপাড়া উপজেলার মম্বিপাড়ায় অবস্থিত রাখাইনদের পুরাতন বৌদ্ধ বিহারে। ১৮৮ বছরের পুরোনো এ বিহার। ১৯৬৫ সালে এখানে বন্যার পানি ওঠে। শয়নকৃত বুদ্ধের মূর্তিটি অনেক ভারী হওয়ায় একে সরানো যায়নি। তখন এখানেই মূর্তিটিকে স্থাপন করেন রাখাইনরা। বিহারের জমির পরিমাণ ৯৯ শতাংশ। এরইমধ্যে অনেক জমি দখল হয়ে গেছে। বাকিটা দখল হবার পথে। বন্যার সময় পুরাতন বৌদ্ধ বিহারের আরেকটি মূর্তি সরিয়ে কুয়াকাটার শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারে স্থাপন করা হয়। কিন্তু পাড় ভাঙায় সাগর ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে। তাই রাখইনরা বিহারের আগের জায়গায় নেয়ার সুদূরবর্তী পরিকল্পনা করছেন। দখল হয়ে যাচ্ছে কলাপাড়ার মিশ্রিপাড়ার রাখাইন পল্লীর শত বছরের পুরোনো সীমা বৌদ্ধ বিহারের জায়গাও। এখানে রয়েছে ৭০ মণ ওজনের ৩২ ফুট ঊঁচু গৌতম বুদ্ধের মূর্তি।। মন্দিরের সামনে কয়েকটি দোকান ভাড়া দিয়েছিল বিহার কর্তৃপক্ষ। এখন জায়গাটা প্রয়োজন। কিন্তু দখলদাররা জায়গা ছাড়ছেন না। পটুয়াখালির জেলা প্রশাসক এবিষয়ে কথা বলতে নারাজ। একটি বিহার নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়ে দায়সাড়াভাবে কাজ সেরেছেন। আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার আগেই প্রশাসন সমস্যার সমাধান করবে এই প্রত্যাশা রাখাইনদের।
সুত্র. নিউজ ২৪ টিভি