রাঙামাটির রাজবন বিহারে ৪৮তম দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দান শেষ হয়েছে।
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) সমাপনী দিনে তুলা থেকে সুতা কাটাসহ কোমর তাঁতের মাধ্যমে বুনন প্রক্রিয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তৈরী কঠিন চীবর দুপুর ২টায় ভিক্ষু সংঘের উদ্দেশে দান করেছেন পুণ্যার্থীরা।
শুক্রবার দুপুরে রাজবন বিহারের পশ্চিম পাশের মাঠে চীবরটি উৎসর্গ শেষে রাজবন বিহার অধ্যক্ষ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবিরের হাতে তুলে দেন রাজবন বিহারের উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সভাপতি গৌতম দেওয়ান । এ সময় হাজার হাজার পূণ্যার্থীর সাধুবাদে মুখরিত হয় রাজবন বিহার এলাকা।
এর আগে রাজবন বিহার এলাকায় কঠিন চীবর প্রদক্ষিণ করানো হয়। এ সময় পূণ্যার্থীরা চীবরে বিভিন্ন সামগ্রী দান করেন। চীবর প্রদক্ষিণ শেষে ভিক্ষুসংঘের কাছ থেকে পঞ্চশীল গ্রহণ করেন পূণ্যার্থীরা।
এ কঠিন চীবরদান উৎসব বৃহষ্পতিবার শুরু হয়ে আজ শুক্রবার বিকালে চীবর উৎসর্গের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এবারের কঠিন চীবর দানোৎসবের আহবান ছিল পৃথিবীর সকল মানুষ যেন করোনা মহামারীসহ যে কোন রোগ থেকে মুক্তি লাভ করে।
রাজবন বিহার উপাসক উপাসিকা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংশুই প্রু চৌধুরী, বিহার উপাসক উপাসিকা পরিষদের সভাপতি গৌতম দেওয়ান, সাবেক উপমন্ত্রী মণিস্বপণ দেওয়ান সহ জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বৌদ্ধ ভিক্ষুর ধর্মীয় দেশনা শেষে একে একে পূণ্যার্থীরা বনভান্তের উদ্দেশ্যে চীবর উৎসর্গ করেন।
আয়োজক কমিটি জানায় এবারে উৎসবে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়। এতে যোগ দেয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বৌদ্ধ ধর্মামবলম্বীসহ অন্যান্য ধর্মের মানুষ। উৎসবকে ঘিরে রাজবন বিহার ও আশেপাশের এলাকায় বসেছে মেলা।