অনুষ্ঠানে বলা হয় গৌতম বুদ্ধের জীবন ও দর্শনকে শিক্ষার্থীসহ সকল পাঠকের কাছে সহজবোধ্য উপস্থাপন করার এটি একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।
নট ফর সেল ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘বাংলাদেশে প্রথম কোনও বইয়ের কালেক্টর’স এডিশন প্রকাশ করা হয় সংগ্রহের অংশীদার হিসেবে, বিক্রয়ের জন্য নয়। অর্জনের মনস্তত্ত্ব তৈরি করা, পাঠকসহ সংশ্লিষ্টদের ক্রয়ের সঙ্গে প্রথাগত যে মনস্তত্ত্ব, তা থেকে বেরিয়ে বইকে সেলিব্রেট করা হয় এই ক্লাব থেকে।
ত্রিপিটক পাবলিক সোসাইটির সভাপতি উজ্জ্বল বড়ুয়া বাসু ফেইসবুক স্ট্যাটাসে জানান , নট ফর সেল ক্লাবের বুদ্ধ শিরোনামের বইটির ভেতরের পাতার কিছু রঙিন ছবি দিয়েছেন আমায় একজন। বইটি নিয়ে কী মন্তব্য করবো!!! ছবি দেখেই লজ্জা লাগছে। আধুনিক সভ্য যুগের মানুষ প্রকাশ্যে মানুষের যৌনাঙ্গের ছবি দিয়ে এমন বই বের করে কীভাবে? শুধু যৌনাঙ্গের ছবি বললেও ভুল হবে এক মহিলা আরেক পুরুষের যৌনাঙ্গ হাতে ধরে আছে এমন ছবি তুলে দিয়েছেন বইতে। বইটির রচনা সহযোগী বেশ কয়জন বড়ুয়ার নাম দেখলাম বইয়ের পেছনের পাতায়? ভাই আপনাদের মা বোনকে পাশে বসিয়ে বইয়ের ছবিগুলো দেখতে পারবেন তো?
বই প্রসংগে সুজয় বড়ুয়া ফেইসবুক স্ট্যাটাসে জানান , উক্ত গ্রন্থটির অনুবাদ/ভাষান্তরের ভাব মূলগ্রন্থের সাথে সামন্জস্য রাখার চেষ্টা করলেও বিপত্তি ঘটল প্রতীকি ছবি/চিত্র সম্পাদনা নিয়ে! মূলের সাথে মিল না রেখে- তারা তাদের ইচ্ছে মতো – যৌনতায় ভরপুর কুরুচি ও অমার্জিত ছবি/চিত্র সম্পাদনা করে – বুদ্ধ তার দর্শনকে কামসূত্রের ছায়াপটে উপস্থাপন করেছেন! গ্রন্থটির অভ্যান্তরের বেশ কিছু চিত্র দেখা মাত্রই যেকোনো বৌদ্ধ ধর্মবিশ্বাসীর মনে বুদ্ধ ও বৌদ্ধধর্মকে নিয়ে বিরূপ ও বিকৃত ধারনা উদিত হতে বাধ্য! এই যেন মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরা!