দিনাজপুর : পাবর্তীপুর উপজেলায় হামিদপুর ইউনিয়নের ইসবপুর গ্রামে বৌদ্ধ বিহারটির নির্মাণকাল পঞ্চম থেকে সপ্তম শতাব্দীতে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুরো খননকাজ হলে রেডিও র্কাবন ডেটিংয়ের মাধ্যমে প্রকৃত নির্মাণকাল নিশ্চিত হওয়া যাবে।
রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক সোহাগ আলী জানান, দিনাজপুর পার্বতীপুরের হামিদপুর ইউনিয়নের ইসবপুর গ্রামের ধাপেরবাজারে প্রায় দেড় একর এলাকাজুড়ে থাকা ঢিবি খনন করে প্রাচীন বৌদ্ধ বিহারটির সন্ধান পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত খননে বর্গাকার এই বৌদ্ধ বিহারে ৯টি বৌদ্ধ ভিক্ষু কক্ষ, কেন্দ্রীয় মন্দির ও বিহারাঙ্গনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এছাড়া মৃৎপাত্র, বিভিন্ন ধরনের মৃৎপাত্রের ভগ্নাংশ, পাথরের টুকরো, টিসি বল ও প্রাণীর হাড়ের মত প্রত্নবস্তু পাওয়া গেছে।
গবেষক দলের নেতৃত্বে থাকা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক সোহাগ আলী জানান, বৌদ্ধ বিহারের নিদর্শনগুলো এখানে পাওয়া গেছে। খনন প্রক্রিয়া পুরোপুরি সম্পন্ন হলে এর নির্মান সময়কাল নিশ্চিত করা সম্ভব।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জয়নাল আবেদীন জানান, নিদর্শনটিকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। স্থানটি সংরক্ষনের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। খনন স্থানে খনন কাজ সম্পন্ন হলে কি ধরনের উপকরণ পাওয়া যায় তা সংরক্ষন করা হবে। এই স্থানে কবে এবং কত বছর পূর্বে বৌদ্ধ বিহারটি অবস্থিত ছিল ও পরবর্তীতে কালের পরিক্রমায় বিলীন হয়ে গেছে। সে বিষয়টি নিয়ে গবেষনা চলছে। সব মিলিয়ে বৌদ্ধ বিহারের একটি সার সংক্ষেপ প্রস্তুতির জন্য রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই টিম কাজ করে যাচ্ছে।
এই খনন প্রক্রিয়ায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ১০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অর্থায়নে প্রভাষক সোহাগ আলীর নেতৃত্বে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মহাস্থান গড়ের ৮ জনসহ ২০ জন শ্রমিক ঢিবির খনন কাজ করছে। এর পাশাপাশি স্থানীয় শ্রমিকদের নিয়োজিত করে ভারি কাজগুলো করার কাজ চলছে। কবে নাগাদ এই কাজ সম্পন্ন হবে তা নিশ্চিক করে বলতে না পারলে তারা বলছে আরো ৪ থেকে ৬ মাস সময় লাগতে পারে।
বৌদ্ধ বিহার স্থানটি আবিস্কার হওয়ার পর ঘটনাস্থলে প্রতিদিন শত শত মানুষ ও উৎসক জনতা দেখার জন্য ঘটনাস্থলে ভীর করছেন। বিষয়টি ওই এলাকারসহ জেলায় ব্যাপক চাঞ্চল্যসৃষ্টি করেছে।
নিউজজি/এসএম