আগামীকাল বুধবার (২৬ মে) প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা।
এই বৈশাখী পূর্ণিমাতেই কপিলাবস্তুর গৃহত্যাগী রাজকুমার সিদ্ধার্থ জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। আড়াই হাজার বছর আগে বোধি জ্ঞান লাভ করার পর গৌতম বুদ্ধ তাঁর শিষ্যদের মধ্যে যে ধর্ম প্রচার করেছিলেন, তাই বৌদ্ধ ধর্ম নামে পরিচিত। ত্রিস্মৃতি বিজড়িত এই দিনটি বিশ্ব বৌদ্ধবাসীর কাছে ‘শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা’ হিসেবে সুপরিচিত।
এই বছর গৌতম বুদ্ধের ২৫৬৫ তম বুদ্ধ বর্ষ উদযাপিত হবে। পূর্ণিমা তিথিটি ২৫ মে রাত ৮টা ১০ মিনিটে শুরু হবে ।
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দেবেন।
বুদ্ধপূর্ণিমার দিনে বৌদ্ধরা বুদ্ধপূজাসহ পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ, সমবেত প্রার্থনা এবং নানাবিধ মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। তারা বুদ্ধানুস্মৃতি ও সংঘানুস্মৃতি ভাবনা করেন। পূজা ও আচার-অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিবিধ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। বৌদ্ধবিহারগুলোতে বুদ্ধের মহাজীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনাসহ ধর্মীয় সভার আয়োজন করা হয়।
দিনভর বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা দিনটি পালন করে থাকলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এবার এই উৎসবটি অনাড়ম্বরভাবে উদযাপন করা হবে।