আদিবাসীদের সামাজিক অন্যতম প্রাণের উৎসব হল বৈসাবি। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত আদিবাসী চাকমা,মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বর্ষবরণ উৎসবকে সম্মিলিত “বৈসাবি” নাম দিয়েছেন। চাকমাদের বিজু,মারমা ও রাখাইনদের সাংগ্রাইং ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বৈসু থেকে নববর্ষের উৎসব হল বৈসাবি। প্রতি বছরের জমকালো আয়োজনের এই উৎসব পালন করে থাকে প্রতি সম্প্রদায়ের।
এই উৎসবকে ঘিরে প্রতিটি ঘরে ঘরে সাজসজ্জা করে থাকে যুব যুবতী ও ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতি কারণে গত বছরেরও এ সময় সরকার লকডাউন ঘোষণা করেন।তাই পার্বত্য চট্টগ্রামে বৈশাখী বা বৈসাবি উৎসব ব্যাপক আকারের আয়োজন না করে ঘরোয়া আয়োজন শেষ হয়।পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রাণের উৎসব সাংগ্রাইং,বিজু ও বৈসু। বছর ঘুরে এসে গত মার্চ মাস থেকে করোনা আক্রান্ত সংখ্যা মারাত্মক ভাবে বেড়ে যাওয়ার সরকার আবার আগামী ১৪ এপ্রিল অথ্যাৎ ১লা বৈশাখ তারিখ থেকে আবার দ্বিতীয় ধাপে লকডাউন ঘোষণা করেছেন। তাই এবারও বৈসাবি উৎসব কোন প্রকার ব্যাপক আয়োজনে করছে না কোন সামাজিক সংগঠন গুলো। খাগড়াছড়ি মারমা উন্নয়ন সংসদ(মাউস) কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত সভাপতি মংপ্রু চৌধুরী বলেন – বর্তমানে দেশের ক্লান্তি লগ্নে যেকোন উৎসব পালন করা থেকে বেঁচে থাকার লড়াই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশে বর্তমান করোনা আক্রান্ত সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।তাই সকলে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা একান্ত প্রয়োজন। যদি বেঁচে থাকি তাহলে এর থেকে বিরাট আয়োজনে আমরা সাংগ্রাইং পোয়েঃ উৎসব পালন করতে পারবো। এবার কোথাও কোন বর্ষবরণে র্যালী,জলকেলী, ঐতিহ্যবাহী খেলাধূলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। শুধুমাত্র ঘরোয়া পরিবেশে এই উতসব পালন করা হবে।স্বাস্থ্যবিধি মেনে বৌদ্ধ বিহারের গিয়ে শীল গ্রহণ,বুদ্ধ, ধর্মদেশনা শ্রবণ ও বিশ্বের মানবের শান্তি কামনায় প্রার্থনা করা হবে