দারিদ্র বিমোচন ও সমাজ সেবায় বিশেষ অবদান রাখায় স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী স্মারক সম্মাননা পেলেন রাউজান উপজেলার কদলপুর বিসিসিইউএলএর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ভদন্ত শাসনরক্ষিত মহাথের।
শুক্রবার ২ এপ্রিল মানবাধিকার সংগঠন ‘ইউনাইটেড মুভমেন্ট ফর হিউম্যান রাইটস ঢাকাস্থ শাহবাগ ইন্টার কন্টিন্টোল ক্রিস্টাল বলরুমেএ সম্মাননা প্রদান করে ।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবে আয়োজিত আলোচনা সভা, গুণীজন সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন ইউনাইটেড মুভমেন্ট ফর হিউম্যান রাইটস এর চেয়ারম্যান সংস্কৃতিজন এডভোকেট লুৎফুল আহসান বাবু । প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ হাই কোর্ট ডিবিশনের চলমান বিচারক বিচারপ্রতি এস এম মজিবুর রহমান, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীরপ্রতীক ও সাবেক সেনাপ্রধান লে: জেনারেল এম.হারুন অর রশিদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. হামিদা খানম, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব শাহনেওয়াজ দিলরুবা খান, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলেদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ডা: মো: জহিরুল ইসলাম, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এর অব:সরপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার চৌধুরী নেসারুল হক, গীতিকার ও সুরকার হাসান মতিউর রহমান, সঙ্গীত শিল্পী এস, ডি রুবেল, ৭১ চিভি সংবাদকর্মী কবি ও আবৃত্তিকার ফারজানা করিম।
মহান গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বপক্ষের মানবাধিকার সংগঠন ইউনাইটেড মুভমেন্ট ফর হিউম্যান রাইটস জাতির পিতার শতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা হতে স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বীর মুক্তিযুদ্ধা, শিক্ষা, চিকিৎসা, গবেষণা, পরিবেশ, আইন পেশা, কৃষি, নারী উন্নয়ণ, সমাজসেবা, দারিদ্র বিমোচন, মানবাধিকার, সঙ্গীত, শিল্পী, কবি, লেখক ক্যাটাগরীতে অসমান্য অবদান রাখায় সমগ্র বাংলাদেশ হতে বাচাই করে ২০জনকে ” স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।
অনুভূতি ব্যাক্ত করতে গিয়ে তিনি জানান, বাঙ্গালীর গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী স্মারক সম্মাননা প্রদান করায় আয়োজকসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। উক্ত সম্মাননা আমার কোন কৃতিত্ব নাই। উক্ত সম্মাননা আমার কোন কৃতিত্ব নাই। যারা আমার কাজের অংশ, আমি যাদের নিয়ে আর্থসেবামুলক কার্যক্রম এবং মানবসেবা করি তাদেরই কৃতিত্ব মনে করি। তারা আমাকে সেবা করার সুযোগ করে না দিলে আজকে এই সম্মাননা পাওয়া সম্ভব হতো না। সম্মাননা স্মারকটি সেই সকল মানুষের উদ্দেশ্যে উৎসর্গীত করলাম যাদের সহানুভূতি এবং প্রেরনায় কাজের উৎসাহ খুঁজে পাই। আমি স্বভাবত কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ সম্মাননা লাভে প্রত্যাশী নই। সেবার মধ্যে আত্মতৃপ্তি হচ্ছে বড় সম্মান যখন মানুষের মুখে হাসি-আনন্দ, প্রীতি-সুখ দিতে পারি।