আফগানিস্তানের বামিয়ান ভ্যালির গৌতম বুদ্ধের ভাস্কর্য ছিল একসময় বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা বুদ্ধ ভাস্কর্য। কিন্তু ২০ বছর আগে দেশটির তালেবান শাসনামলে স্যান্ডস্টোনে নির্মিত ভাস্কর্যটির একাংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় রকেট দিয়ে।
ভাস্কর্যটি দীর্ঘদিন ধরেই ফরাসি কর্র্তৃপক্ষের অধীনে সংস্কারের কাজ চলছে। কবে নাগাদ পুরো ভাস্কর্যটির সংস্কার শেষ হবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। কিন্তু এর মধ্যেই গত মঙ্গলবার ভাস্কর্যটির স্থানে থ্রিডি প্রযুক্তির মাধ্যমে বুদ্ধের ভাস্কর্যটি প্রদর্শিত হয়। ২০০১ সালের মার্চ মাসে ১৫৫ ফুট লম্বা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলার দিনকে সামনে রেখেই এই থ্রিডি প্রদর্শিত হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ষষ্ঠ ও সপ্তম শতকে যখন আফগানিস্তানে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল তখন ওই ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ‘এ নাইট উইথ বুদ্ধা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজক জাহরা হুসেইনি বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা চাই না এ স্থানে যে বীভৎস ঘটনা ঘটেছিল তা মানুষ ভুলে যাক। ভবিষ্যৎ নিয়ে আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করতে চাই আমরা। আমাদের ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর কী হবে তা ভেবে আমরা চিন্তিত।’
থ্রিডি প্রদর্শনী উপলক্ষে বামিয়ানের স্থানীয় ও সিভিল সোসাইটির শতাধিক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তারা হাতে জ¦লন্ত হারিকেন নিয়ে পুরো এলাকা প্রদক্ষিণ করে বুদ্ধের ভাস্কর্যটির সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন কিছু সময়। প্রদর্শনীর সময় পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছিলেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
আলোক প্রজ্বলনের পর স্থানীয় নৃত্যশিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করেন। এ সময় স্থানীয় ২৩ বছর বয়সী গুলসুম জাহরা বলেন, ‘এ ভাস্কর্যগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয়, কতটা সম্পদ আমরা হারিয়েছি।’