তাপস কুমার নন্দী:
সমাগত পূণ্যার্থীর সাধু সাধু ধ্বনিতে রাঙামাটি রাজবন বিহারে শেষ হয়েছে দু’দিনব্যাপী ৪৬তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান উৎসব।
আজ শুক্রবার দুপুরে পুণ্যার্থীরা বনভান্তের স্মৃতির উদ্দেশ্যে কল্পতরু এবং চীবর দান করেছে। এ সময় চীবর গ্রহণ করেন রাজবন বিহারের আবাসিক প্রতিনিধি প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবির।
শুক্রবার সকাল ৬টায় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয় দেব-মানবের তথা সকল প্রাণীর হিতার্থে ধর্মদেশনা। চীবর তৈরির পর দুপুর ১টায় শোভাযাত্রা সহকারে কঠিন চীবর ও কল্পতরু মঞ্চে আনা হয়। পঞ্চশীল গ্রহণের পর দুপুর আড়াইটায় বনভান্তের মানব প্রতিকৃতির উদ্দেশ্যে কঠিন চীবর উৎসর্গ করা হয়।
দানোৎসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংসদের সংরক্ষিত আসনের সাংসদ বাসন্তী চাকমা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ, চাকমা সার্কেল চিফ ও রাজবন বিহারের প্রধান পৃষ্টপোষক ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় ও চাকমা সার্কেলের উপদেষ্টা রানী ইয়েন ইয়েন, রাজবন বিহার উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সহ-সভাপতি গৌতম দেওয়ানসহ বিভিন্নস্তরের মানুষ।
রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবির, ‘পার্বত্য অঞ্চলের শান্তিসহ সারা বিশ্বের মানুষের শান্তি কামনা করা হয়।
আগামী দিনগুলোতে মারামারি হানাহানি বন্ধ হয়। সুখে শান্তিতে সবাই মিলে পৃথিবীতে বসবাস করতে পারি সেই মঙ্গল কামনা করেন তিনি।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বেইনঘর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ উৎসব। এটি পার্বত্য অঞ্চলে বৌদ্ধদের বৃহত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব।