রাঙামাটি রাজবন বিহারে দুই দিনব্যাপী কঠিন চীবর দান উৎসব বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে। বিকাল পৌনে তিনটায় পঞ্চশীল গ্রহণের পর বেইন ঘর ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন পরমপূজ্য বনভান্তের শিষ্যসঙ্ঘের প্রধান এবং রাজন বিহারের আবাসিক প্রধান শ্রদ্ধেয় প্রজ্ঞালঙ্কার মহাথেরো মহোদয়। তার সাথে উপস্থিত ছিলেন পূজনীয় ভিক্ষুসঙ্ঘ। এর পরে ফিতা এবং চরকা গুরিয়ে সূতা কাটেন চকমা রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়।
এ সময় লাখো পূণ্যার্থীর সাধুবাদে মুখরিত রাজবন বিহার এলাকা। এ বছর ১৯৬টি কোমর তাঁতের মাধ্যমে চীবর তৈরি করা হচ্ছে।
উদ্বোধনের পর আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা তৈরি, এরপর কোমর তাঁতের মাধ্যমে তৈরি চীবর শুক্রবার দান করা হবে। আজ নির্ঘুম রাত জেগে তুলা থেকে সুতা তৈরি করে কঠিন চীবর তৈরি করা হবে।
বড় এ ধর্মীয় উৎসবে যোগ দিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ ভিড় করেছেন রাঙামাটিতে। পুরো রাঙামাটি শহর পরিণত হয়েছে মেলার শহরে। আগত পূণ্যার্থী ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
তথাগত গৌতম বুদ্ধের সময় বিশাখা নামে এক পূণ্যবতী কর্তৃক প্রবর্তিত রীতি অনুযায়ী দুই দিনব্যাপী এই ধর্মীয় অনুষ্ঠান হবে। তুলা থেকে সুতা তৈরিসহ বুনন কাজের সকল প্রক্রিয়ার শেষে ২৪ ঘণ্টার মধ্য তৈরি চীবর গৌতম বুদ্ধকে দান করেন। এ রীতি অনুসরণ করে ১৯৭৪ সালে প্রয়াত সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের নির্দেশক্রমে এ ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন হয়ে আসছে।