উৎফল কুমার বড়ুয়া:
চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানার অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী পন্থিছিলা সার্বজনীন শ্মশান বিহারে গত ১লা নভেম্বর ২০১৯ইং ২৩তম বারের মত দানরাজা,দানশ্রেষ্ঠ,দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত দানানুষ্ঠানের ধর্মীয় আসনে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভ. লোকানন্দ মহাথের,,প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আন্তর্জাতিক ভাবনা কেন্দ্র,,পাথরঘাটা,চট্টগ্রাম।
প্রধান সদ্ধর্মদেশক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভ. এস ধর্মমিত্র থের,,উপাধ্যক্ষ,, জলদী ধর্মরত্ন বিহার,,বাঁশখালী।
এছাড়াও উক্ত মহতী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভ.নন্দপ্রিয় ভিক্ষু,,ভ.বোধিরত্ন ভিক্ষু প্রমুখ।
দানশ্রেষ্ঠ এই মহতী অনুষ্ঠান শুভ উদ্ভোদন ঘোষণা করেন অত্র বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ভ. সুভদ্রজ্যােতি ভিক্ষু।
মহান এই দানানুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আ.ম.ম দিলশাদ,,মাননীয় সদস্য,,চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ।
সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন মিস অনিন্দিতা বড়ুয়া,,পুলিশ সুপার,,সিএমপি।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ পুষ্পেন্দু বড়ুয়া।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পন্থিছিলা সার্বজনীন শ্মশান বিহার তথা অত্র বিহার প্রতিষ্ঠাকরণের তৎকালীন সময়ের অগ্রীম ভূমিকা পালনকারী গুরুত্বপূর্ণ সহকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল কাশেম মোঃ ওয়াহেদী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল পূজনীয় ভিক্ষুসংঘ ও মহান অতিথিবৃন্দদের পুষ্পস্তবক ও ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।
সর্বসাকুল্যে ভিক্ষুসংঘ ও অতিথিবৃন্দের বক্তব্যের সারমর্ম ছিলোঃ তথাগত সম্যক সম্বুদ্ধের প্রচারিত মহান এই ধর্মের অন্তর্গত সকল বিহার তথা বিহারের অধীন সকল ব্যক্তিবর্গ,,সকল মানুষ যদি হিংসাপরায়ণ না হয়ে একতাবদ্ধ বিহার উন্নয়নপ্রকল্পে কাজ করে তবে বিহারের যেমন উন্নয়ন সাধিত হবে ঠিক তেমনি সমাজের মধ্যেও শান্তি-শৃঙ্খলা বিরাজ করবে।
আর এভাবেই সকল কঠিন-অপ্রতিরোধ্য কাজ একসময় সহজ হয়ে হাতের মুঠোয় ধরা দিবে।
উক্ত অনুষ্ঠান সাফল্যমন্ডিত করার লক্ষ্যে সেচ্ছাসেবক-সেচ্ছাসেবিকাবৃন্দের অবদান ছিলো চোখে পড়ার মতো।
উক্ত সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জীবন বড়ুয়া ও অনীক বড়ুয়া