প্রবারণা পূর্ণিমায় এবার কোন ধরনের আতশবাজি ফোটানো যাবে না। একই সঙ্গে এ উৎসবের প্রধান আকর্ষণ ফানুসবাতি উড়ানোর সময়ও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আগামী ১৩ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় বৌদ্ধদের এ ধর্মীয় উৎসবকে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সিএমপির পক্ষ থেকে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে সিএমপির সম্মেলন কক্ষে বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুবর রহমান। এ সময় সিএমপির সব থানার ওসিসহ সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে গতবারের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করে বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতারা এবারও পুলিশের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। জবাবে পুলিশ কমিশনার জানান, প্রত্যেক ধর্মীয় উপসানালয়ে প্রবেশে নিরাপত্তা বেস্টনি পার হয়েই যেতে হবে। মুখোমুখি হতে হবে তল্লাশির। আগের বার অনির্ধারিতভাবে ফানুস উড়ালেও বিমান ওঠানামায় সমস্যা হওয়ায় সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের আপত্তি থাকায় সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এবার ফানুস উড়ানো যাবে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত। এছাড়া কোনও ধরনের আতশবাজি ফোটানো যাবে না বলে সিদ্ধান্ত আসে পুলিশ কমিশনারের কাছ থেকে।
সভায় নগরীতে প্রবারণা পূর্ণিমা সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন এবং তাদের পরিচিতির জন্য নির্ধারিত পোশাক/আইডি কার্ড/আর্ম-ব্যান্ড পরিধানের জন্য অনুরোধ জানান হয় সিএমপির পক্ষ থেকে।
এছাড়াও প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসব সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে উদযাপনের সুবিধার্থে মহিলা ও পুরুষদের জন্য আলাদা আলাদা প্রবেশ ও বহির্গমন পথের ব্যবস্থা করণের এবং নিরাপত্তার স্বার্থে অনুষ্ঠান স্থলে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসবে মাদক, ছিনতাই এবং ইভটিজিং প্রতিরোধে পুলিশী অভিযান কার্যক্রম জোরদার, পুলিশী টহল বৃদ্ধি, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি এবং উর্ধ্বতন অফিসার কর্তৃক নিয়মিতভাবে পরিদর্শনের মাধ্যমে নিরাপত্তা প্রদানে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে কমিশনার সকলকে আশ্বস্ত করেন।