বুদ্ধ ইন্টারন্যাশনাল ওয়েলফেয়ার মিশন কর্তৃক পরিচালিত কলকাতা এবং বুদ্ধগয়া ২টি বিহারের মধ্যে গত ৬ নভেম্বর ২০১৮ সাড়ম্বরে দেড় হাজারের অধিক দেশী-বিদেশী ভিক্ষুর এবং প্রচুর ধার্মিকের সমাবেশে দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব সুসম্পন্ন হয়।
সকাল ১০টায় রিষড়া গ্রামবাসীর পক্ষে প্রার্থনা করেন এবং সভাপতি ভদন্ত ড. সত্যপাল মহাথের শীল প্রদান করেন। ধর্মদেশনা প্রদান করেন, শ্রীমৎ ধর্মরত্ন থের, প্রধান ধর্মদেশক শ্রীমৎ এস. লোকজিত থের, লন্ডন থেকে আগত শ্রীমৎ বুদ্ধদাস ভিক্ষু, সহযোগিতাকারী তথা দাতাদের এবং ধর্ম সভায় সকলের প্রানবন্ত উপস্থিতির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বি. আর্যপাল(আরিয়াপাল ) ভিক্ষু, সকলের মঙ্গল কামনায় অষ্ট উপকরনসহ সংঘদান করা হয়। সামাজিক এবং ধর্মীয় জীবনে বিশেষ অবদান রাখার জন্য শ্রীমৎ আর্যপাল থেরকে (আরিয়াপাল) বিশ্বের শান্তির দূত সম্মাননাসহ স্মারক প্রদান করেন দি গ্লোবাল পিস একাডেমির সভাপতি ড. এস কে আগারওয়াল। দুপুর ১১.৫০মি. থেকে ১২.৩৫মি. পযর্ন্ত খাবার গ্রহনের সময় সুমধুর কন্ঠে বুদ্ধ সংকীর্তন পরিবেশন করেন বাবু অসীম বড়ুয়া সহ বোধি পল্লবের সদস্যরা। নিক্বণ কতৃর্ক -কোন বাবা-মা ঠিকানা যেন বৃদ্ধাশ্রম না হয় তার উপর বিশেষ নাকট “বন্ধু তোমার জন্য পরিবেশিত হয়। পায়েল নৃত্য সংস্থা কর্তৃক ধর্মীয় নিত্য পরিবেশন করেন। কীর্তন সহকারে চীবর পরিক্রমার পর দুপুর ১.৩০মি. সোলান্কি বড়ুয়া (শ্রীকান্ত ও সুনন্দা বড়ুয়ার মেয়ে ) উদ্বোধনী নৃত্য, শ্রীমতি সুষমা বড়ুয়ার গান এবং আন্তর্জাতিক ভিক্ষু প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শ্রমন- ভিক্ষুর মঙ্গলচারনের মাধ্যমে কঠিন চীবর দান শুরু করা হয়। পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন মহেশতলা গ্রামবাসী। প্রধান ধর্মদেশক ছিলেন শ্রীমৎ বুদ্ধরক্ষিত মহাথের, প্রধান অতিথি বক্তব্য করেন বাবু দিলিপ বড়ুয়া (নিউ ইয়র্ক) । এছাড়াও ভদন্ত বিবেকানন্দ মহাথের. দক্ষিণ কোরিয়ান ভান্তে ওনম্যান, দিকপাল মহাথের এবং শ্রীকান্ত বড়ুয়া । সভাপতি ছিলেন ভারতীয় সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার মহামান্য সংঘরাজ, অধ্যাপক, ড. সত্যপাল মহাথের। ধর্মদেশনার পর এবং চীবর উৎসর্গ করার পর সভা সমাপ্ত করা হয়।সকল ভিক্ষু-শ্রমনদের পরিচালনায় ফানুস উত্তোলনের মাধ্যমে সান্ধ্যকালীন পূজা করা হয়। বাবু দিলিপ বড়ুয়া এবং সরোজিত চৌধুরী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। বাবু জগজোতি মুৎসুদ্দী সংবর্ধনা প্রদান করেন । বুদ্ধগয়া বিহারে আগামী ২১ নভেম্বর কঠিন চীবর দান সভা এবং ভারতের সর্ব বৃহৎ সিংহশয্য শায়িত বুদ্ধমূরতি তৈরির কাজ করা হবে এবং সকলের আর্থিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।