সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরায় তাকে পাওয়া গেছে বলে বুধবার জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মিজানুর রহমান।
তিনি জানান ,“উনাকে সাতক্ষীরায় পাওয়া গেছে, এখন চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হচ্ছে।”
কীভাবে তাকে উদ্ধার করা হল, কী ঘটেছিল- এই প্রশ্নে ডিবি কর্মকর্তা মিজানুর বলেন, “উনার সঙ্গে কথা বলে আগামীকাল প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে।”
এই বছরের ১২ এপ্রিল চট্টগ্রাম নগরীতে বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন মনিকা (৪৫)। তার স্বামী দেবাশীষ বড়ুয়া একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন প্রথমে। পরে তা অপহরণের মামলায় রূপান্তর ঘটলেও তার সন্ধান বের করতে পারেনি পুলিশ।
মনিকার সন্ধান দাবিতে তার বোন ও বন্ধুরা বেশ কয়েকবার মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন।
মনিকার স্বামী দেবাশীষ একজন সাংবাদিক।
গত ১২ এপ্রিল লালখান বাজারের হাই লেভেল রোডের বাসা থেকে গান শেখানোর জন্য বের হয়েছিলেন মনিকা।
দেবাশীষ বলেন, আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় খোঁজ করেও স্ত্রীর সন্ধান না মেলায় পর দিন ১৩ এপ্রিল খুলশী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি।
মনিকার অন্তর্ধাণের বিষয়ে স্বামী দেবাশীষ বলেছিলেন, “আমাদের দাম্পত্য জীবনে কোনো সমস্যা ছিল না। পারিবারিকভাবেও কখনও সমস্যা ছিল না। কেন কী কারণে নিখোঁজ, সে ব্যাপারে আমরা কিছু বুঝতে পারছি না।”
দুই মেয়ের জননী মনিকা নগরীর কাতালগঞ্জের লিটল জুয়েলস স্কুলে গান শেখাতেন। তার বড় মেয়ে নগরীর একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে এবং ছোট মেয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।
সুত্রঃ বিডি নিউজ ডট কম