1. pragrasree.sraman@gmail.com : ভিকখু প্রজ্ঞাশ্রী : ভিকখু প্রজ্ঞাশ্রী
  2. avijitcse12@gmail.com : নিজস্ব প্রতিবেদক :
সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ০৪:২৬ অপরাহ্ন

হাজার বছরের পুরনো মূর্তি ফিরে পেতে ডাচ আদালতে চীনারা

প্রতিবেদক
  • সময় বৃহস্পতিবার, ১ নভেম্বর, ২০১৮
  • ৭২১ পঠিত

একজন বৌদ্ধ ভিক্ষুর হাজার বছরের পুরনো একটি মূর্তি ফিরে পেতে নেদারল্যান্ডসের একটি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে চীনের একদল গ্রামবাসী। মূর্তিটিকে নিজেদের আধ্যাত্মিক নেতা দাবি করে এর মালিকানা চাইছে তারা।

চীনের পূর্বাঞ্চলীয় ছোট্ট গ্রামটির নাম ইয়াংচুন। সেখানকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ডাচ সংগ্রাহক অস্কার ভ্যান অভরিম চুরি হয়ে যাওয়া মূর্তিটি কিনেছেন। ১৯৯৬ সালে হংকং থেকে তিনি এর মমিকৃত অবশিষ্টাংশ সংগ্রহ করেন।

বুধবার আমস্টারডাম ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে মূর্তিটি নিয়ে যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। আদালতে যুক্তিতর্ক শেষে গ্রামের মুখপাত্র লিন ওয়েন কিং বলেন, ‘আমরা এই মূর্তিটির সঙ্গেই বড় হয়েছি। দিনরাত তিনি এখানে ছিলেন। তিনি আমাদের আধ্যাত্মিক নেতা।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্য তাকে ফিরে পাওয়াটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
এই শুনানিতে অংশ নিতে চীন থেকে নেদারল্যান্ডসে আসা ছয় গ্রামবাসীর একজন এই লিন ওয়েন কিং। আদালতের কাছে গ্রামবাসীদের আবেদন, মনুষ্য আকৃতির বৌদ্ধ মূর্তিটি যেন তাদের মন্দিরে ফেরত দেওয়া হয়, যেখান থেকে ১৯৯৫ সালে এটি চুরি হয়েছিল। এর আগে শত শত বছর ধরে এর পূজা করে আসছিলেন তারা।

চুরি যাওয়ার দুই দশক পর ২০১৫ সালে গ্রামবাসী দাবি করেন, বুদাপেস্টের ন্যাশনাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের মমি ওয়ার্ল্ড এক্সিবিশনে প্রদর্শন করা ওই মূর্তিটি আসলে তাদের মন্দিরের বৌদ্ধ মূর্তি ঝাংগং প্যাট্রিয়াক।

স্ক্যান করলে মূর্তিটির ভেতরে একটি কঙ্কাল দৃশ্যমান হয়। এতে প্রতীয়মান হয় যে, চীনের ওই ভিক্ষু প্রায় হাজার বছর আগের সং রাজবংশের সময়কালের একজন সন্ন্যাসী ছিলেন। এক পর্যায়ে বুদাপেস্টের ওই প্রদর্শনী থেকে মূর্তিটি সরিয়ে ফেলা হয়।

এই মামলাটি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কেননা এই ইস্যুতে প্রথমবারের মতো আদালতে সফলতা পেতে পারে বেইজিং।

গ্রামবাসী বলছেন, তারা এ ব্যাপারে নিশ্চিত যে, ওই মূর্তিটিই তাদের হারিয়ে যাওয়া আইডল। তাদের আইনজীবী জ্যান হলথুইস বিচারককে বলেন, গ্রামবাসীদের সঙ্গে এই মূর্তির একটি খুবই বিশেষ বন্ধন রয়েছে।’

ডাচ সংগ্রাহক অস্কার ভ্যান অভরিম নিজের অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করে আদালতকে জানান, মূর্তিটি তার ছিল না। ২০১৫ সালে একজন চীনা সংগ্রাহকের কাছ থেকে বিনিময়ের মাধ্যমে তিনি এটি সংগ্রহ করেছেন।

ভ্যান অভরিম আদালতকে বলেন, আমি মূর্তিটি বিনিময় বা অদলবদল করেছি। আমি এটা শুনে খুশি হয়েছি যে, এটি চীনে ফিরে যাবে। তবে ঠিক কোন সংগ্রাহকের কাছ থেকে এটি তিনি সংগ্রহ করেছে সেটি তার মনে পড়ছে না।

তিনি বলেন, আমি একজন স্থপতি এবং একজন সৌখিন সংগ্রাহক। কিন্তু আমি কোনও ডিলার নই। মূর্তিটি কোথায় ছিল, সেটি আমার জানা নেই।

আগামী ১২ ডিসেম্বর এই মামলার রায় দেবেন আদালত। ইতোপূর্বে অবশ্য কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে চীনা শিল্পকর্ম পুনরুদ্ধারের নজির রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বেইজিং কঠোরভাবে তার দেশের চুরি যাওয়া মূর্তি বিক্রির বিরোধিতা করে আসছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

Facebook Comments Box

শেয়ার দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো
© All rights reserved © 2019 bibartanonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themesbazarbibart251
error: Content is protected !!