বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সভাপতি শ্রীমৎ অজিতানন্দ মহাথের (৮২) প্রয়াণ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮.৪০ মিনিটে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (অনিচ্চা বথ সাংখারা…) তিনি জটিল ক্যান্সার রোগে ভুগছিলেন।
আজ বিকাল ৩টা চট্টগ্রামস্থ চাঁন্দগাও সার্বজনীন শাক্যমুনি বিহারে বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার আয়োজনে প্রথম শোকসভা শেষে রাঙ্গুনিয়া ইছাখালী অশোকারাম বিহারে ভন্তের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গেছে।
মৃত্যুকালে তিনি ভিক্ষু জীবনে শিষ্য-প্রশিষ্য এবং গৃহী জীবনের অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান ।
উল্লে, সংঘবন্ধু অজিতানন্দ মহাস্থবির শেষ নি:শ্বাস ত্যাগের অপেক্ষায় চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আইসিইউতে নিবিড় পরিচর্যায় ছিলেন। প্রায় দেড়মাস থাইল্যান্ড চিকিৎসার পর গত ২০ আগষ্ট থাই বিমানে ঢাকা হয়ে চট্রগ্রাম আসেন।
জানা যায়, প্রয়াত অজিতানন্দ মহাথের গৃহী জীবনে রাংগুনীয়া সোনারগাও গ্রামের মৃত কামিনী বড়ুয়া ও মৃত প্রফুল্ল বড়ুয়া সন্তান। উনারা ৪ ভাই ৩ বোন।
পূজনীয় ভন্তে জীবনের সূচনালগ্নে পোমরা জ্ঞানান্ধুর মৈত্রী বিহারে ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত অবস্থান করেছিলেন।সেখান থেকে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম,এ পাশ করেন ও পাশাপাশি শিক্ষকতা পেশাকে ব্রত হিসাবে গ্রহণ করেন।প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সম্পাদকের দায়িত্বে থেকে শিক্ষকদের অধিকার আন্দোলনেও কাজ করেন।
স্বাধীন দৃঢ়চেতা সমাজ ও শাসন সদ্ধর্মের দরদী মানুষ ছিলেন। সব সময় ভিক্ষুসংঘকে রক্ষা করার চেষ্টা করতেন। তার সাংঘিক প্রশাসনিক ও সাংগঠনিক চিন্তাচেতনা ছিল অসাধারণ। আজীবন সংঘের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন। সকল সম্প্রদায়ের অনাথ ছেলেমেয়েদের অশ্রায় দিয়ে শিক্ষাদীক্ষায় প্রতিষ্ঠিত করে মানবতার কাজ করেছেন । এই রূপ সার্বজনীন মানবতাবাদী মধ্যহ্ন সূর্যের ন্যায় তেজদীপ্ত সংঘ পুরুষকে আমরা চিরতরে হারিয়েছি।