বৌদ্ধ পারিবারিক আইন ২০১৮ প্রণীত আইনের খসড়া বাতিলের দাবীতে প্রতিবাদ সভা করেছে বাংলাদেশ সম্মিলিত বৌদ্ধ সমাজের ব্যানারে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে স্থানীয় চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
এতে উপস্থিত সকলে যার যার অবস্থান হতে আইন বাতিলের পক্ষে বক্তৃতা দেন।
প্রকৌশলী সবুজ বড়ুয়ার সঞ্চালনায় স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের সভাপতি ডঃ জিনবোধি মহাথের। স্বাগত ভাষণে তিঁনি বলেন, খন্ডিত আইন পাশ করলেই হবে না, আইনটি সমাজে কতটুকু ফলপ্রসু হবে সেটাও ভাবতে হবে। এই আইনের খসড়ায় সংঘ সম্পত্তির বিষয়টি সম্পূর্ন বাদ দেওয়া হয়েছে যেটা অনভিপ্রত। এতে সবার মতামতকে উপেক্ষা করা হয়েছে।
অনান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, এড. সুজন কুমার বড়ুয়া, সুনয়ন বড়ুয়া, সৈকত বড়ুয়া, বোধিপাল বড়ুয়া, প্রকৌঃ সুনীল কান্তি বড়ুয়া, ইন্দ্রসেন বড়ুয়া, অধ্যাপক প্রভাস কুসুম বড়ুয়া, প্রকৌ:বিজয় তালুকদার,বিভূতি রঞ্জন বড়ুয়া, জুয়েল বড়ুয়া, নিক্সন বড়ুয়া, সুশীল কান্তি বড়ুয়া, সূর্যসেন বড়ুয়া, গৌতম বড়ুয়া,প্রদীপ বড়ুয়া, রনি কুমার বড়ুয়া, পলাশ চৌধুরী, অভি বড়ুয়া, এড. রিগ্যান বড়ুয়া,রকি বড়ুয়া, নিক্সন বড়ুয়া, এড. রিয়েল বড়ুয়া এড.পায়েল বড়ুয়া, প্রমুখ।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ সম্মিলিত বৌদ্ধ সমাযের পক্ষে পুলক বড়ুয়া।
বক্তারা বলেন প্রত্যাক আইনের একটা উৎস থাকে। যেমন মুসলিম আইনের উৎস কোরআন, হিন্দু আইনের উৎস বেদ। বৌদ্ধ আইনের উৎস কি? পবিত্র ত্রিপিটকের আলোকেই বৌদ্ধ আইন হওয়া বাঞ্চনীয়।
বক্তারা আরো বলেন, এই আইনের কয়েকটি ধারা পারিবারিক দ্বন্ধ সৃষ্টি করবে। এই ধারা গুলো সংশোধন করা প্রয়োজন। বিশাল জনগোষ্ঠির মতামতকে উপেক্ষা করে এই আইনের খসড়া অনুমোদন হয়েছে।
যা জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।বাংলাদেশের বড় দুটি ভিক্ষু সংগঠনের মাধ্যমে ও যাচাই বাচাই পূর্বক এই আইন প্রনোয়ন আবশ্যক।
এছাড়াও বক্তারা এই আইনের বিভিন্ন অসামঞ্জতা তুলে ধরে অবিলম্বে এই খসড়া আইন প্রত্যাহারের দাবী জানানো হয়।
প্রতিবাদ সভা থেকে এই আইন বাতিলের জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্বারকলিপি পেশ, সাংবাদিক সম্মেলন ও মানব বন্ধন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এছাড়াও সভা থেকে সকল স্থানে, বিহারে নিজ নিজ উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন আয়োজন করার জন্য আহবান জানানো হয়।