নিজস্ব প্রতিবদন: ভদন্ত বিশুদ্ধি ভিক্ষু মহোদয়ের শৈল্পিক হাতের ছোঁয়ায় গড়েছেন অসংখ্য নান্দনিক বুদ্ধ মূর্তি। ছোটবেলা থেকে খেলতে শিখলেন। তখন থেকে নিজে নিজে গড়তেন মাটি দিয়ে বুদ্ধ মূর্তি সহ বিভিন্ন জিনিষ। আঁকতেন মনের মাধুরী মিশিয়ে বুদ্ধের ছবি। জীবন্ত করে তুলতেন মানসপটে।
সংসার ভালো লাগতনা তার। তা পিতামাতা বুঝতে পারল অনেক দেরীতে। ততক্ষণে সৌরভ বড়ুয়া শুভ আবিস্কার করল কোন এক মন্থর বিকেলে। গৈরিক বসন নিতে রম্যভুমি রামু রামকোট বনাশ্রম বুদ্ধ মহাবিহারে, পণ্ডিত প্রবর শ্রীমৎ প্রজ্ঞাবংশ মহাথেরোর কাছে । তার বাবা চায়তেন ছেলে বড় হয়ে ফার্মাসিস্ট হবে। উদ্ভাবন করবে নতুন কিছু। আশা জাগানিয়া ইচ্ছা পূরণে ভর্তি করিয়েছিলেন ও তাই। অবশেষে ছেলের ইচ্ছের কাছে হার মানতে হল। সম্মতি জানালেন। হয়ে গেল শুভ্রতার খোঁজে সংসারত্যাগী বিশুদ্ধি ভিক্ষু।
সেই থেকে শুরু শ্রীলংকায় গিয়ে মিলল প্রশিক্ষণ। ভারত সহ শ্রীলংকায় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ ও মিলল।
তার আয়োজনে ইতিমধ্যে শতাধিক বিভিন্ন সাইজের বুদ্ধ মুর্তি তৈরী হয়েছে।
ভদন্ত বিশুদ্ধি ভিক্ষু বলেন, মুর্তিগুলা শুধু আমার জীবনের এক বড় অর্জন।মাঝেমধ্যে মনে হয় এগুলা শুধুই মুর্তি নয়, আমার জীবনের এক একটি নতুন অধ্যায় যা আমাকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। আমার আত্মবিশ্বাসকে করেছে আরো প্রবল ।
আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই তাদেরকে যাদের আন্তরিক সহযোগীতা ছিল আমার এই নতুন অধ্যায় তৈরির অনুপ্রেরণা।
(ভদন্ত বিশুদ্ধি ভিক্ষু: বর্তমান সময়ের একজন প্রচার বিমুখ, নিভ্রতচারী, প্রতিভাত সংঘ পুরুষ। জন্ম পাবর্ত্য চট্রগ্রামের খাগড়াছড়ির মাইসছড়িতে। রাউজানের কদলপুরে ভিক্ষু প্রশিক্ষন কেন্দ্রে অবস্থান গ্রহন করে একের পর এক নান্দদিক বুদ্ধ মূর্তি গড়ে যাচ্ছেন । আবাসিকদেরকে সবাইকে এ কাজে প্রতিনিয়ত প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছেন।)
আমরা উনার সুদীর্ঘ, বণিল জীবন লাভে পূন্যদান করছি।
ভদন্ত বিশুদ্ধি ভিক্ষুর উল্লেখযোগ্য শিল্পকর্ম