মহামান্য ৮ম সংঘরাজ কালগত শ্রীমৎ
শীলালঙ্কার মহাথেরোর ১১৮ তম জন্ম
দিবসে আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা।
শতাব্দীর সমবয়সী আমি একুশ শতকে পা রাখতে চলেছি; কালের স্বাক্ষী হয়ে দেখে চলেছি মানুষের অধঃপতন। তাই মনে স্বংয়াকুল জিজ্ঞাসা মানুষ কী কখনো মানুষ হবে না! -৮ম সংঘরাজ শ্রীমৎ শীলালঙ্কার মহাথেরো
শোকের অনুভূতি যেখানে গভীর ভাব সেখানে স্তব্ধ; অনাবিল আনন্দই জাগে হৃদয়ের উচ্ছ্বাস। -৮ম সংঘরাজ শ্রীমৎ শীলালঙ্কার মহাথেরো
সংঘরাজের সংক্ষিপ্ত জীবনী :
জন্ম : ২১ জুন, ১৯০০ খ্রী: ৭ই আষাঢ়।
জন্ম স্থান : চট্রগ্রামের ফটিকছড়ি থানার নানুপুর গ্রাম।
পিতা-মাতা : পিতা জয়ধন বড়ুয়া এবং মাতা শ্যামাবতী বড়ুয়া।
গৃহীনাম : সহদেব বড়ুয়া।
প্রব্রজ্যা গ্রহণ : ১৯২১ খ্রীষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারী মাসে; আকিয়াব, মায়ানমার।
প্রব্রজ্যা গুরু : আরকানী বিখ্যাত ভিক্ষু উ সুমঙ্গল স্থবির।
উপসম্পদা গ্রহণ : ১৯২১ খ্রীষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে, আরকানের সোয়েজাদি (সুবর্ণ চৈত্য) বিহার সীমায়।
উপাধ্যায় গুরু : শ্রদ্ধেয় উ তেজরাম মহাস্থবির।
আচার্য : অগ্গমহাসদ্ধম্মজ্যোতিকাধ্বজ, পণ্ডিত প্রবর প্রজ্ঞালোক মহাস্থবির।
প্রথম বর্ষাবাস : মায়ানী বিহারে প্রথম বর্ষাবাস যাপন।
মির্জাপুর শান্তিধাম বিহারে শুভাগমণ : ১৯৬৭ খ্রী: বৈদ্যপাড়া হতে বিদায় নিয়ে তিনি মির্জাপুর শান্তিধাম বিহারে বিহারাধ্যক্ষ হিসেবে শুভাগমন করেন, এবং মহাপ্রয়াণ অবধি সেখানে অবস্থান করেন।
সংঘরাজ পদে অভিষেক : ১৯৭৫ খ্রী: সাতবাড়িয়া শান্তিধাম বিহারে পরম শ্রদ্ধেয় অভয়তিষ্য মহাস্থবিরের শবদাহ ক্রিয়া সমাপ্ত হলে ২৭শে ফেব্রুয়ারী তিনি সংঘরাজ নিকায়ের সংঘরাজ পদে অভিষিক্ত হন।
মহাপ্রয়াণ : ২০০০ খ্রীষ্টাব্দের ২৩ শে মার্চ দুপুর ২.০৫ টায় মির্জাপুর শান্তিধাম বিহারে মহাপ্রয়াণ প্রাপ্ত হন।