1. pragrasree.sraman@gmail.com : ভিকখু প্রজ্ঞাশ্রী : ভিকখু প্রজ্ঞাশ্রী
  2. avijitcse12@gmail.com : নিজস্ব প্রতিবেদক :
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন

বৌদ্ধ ধর্ম নিয়ে মনীষীদের কথা

প্রতিবেদক
  • সময় মঙ্গলবার, ১৯ জুন, ২০১৮
  • ২৫৬৪ পঠিত

বৌদ্ধ ধর্ম নিয়ে মনীষীরা যা বলেন-
১. বৌদ্ধরা এতই ভাগ্যবান যে তাদেরকে জন্মের পর থেকেই ‘কেউনা’ নামক কোন অশরীরী শক্তির নির্দেশ, আদেশ অথবা কোন প্রেরিত বা নাজেলকৃত মতবাদকে অন্ধের মত বিশ্বাস করে জীবন পরিচালনা করতে হয় না- ভে. প্রফেসর আনন্দ কৌশল্যায়না।
২. যদি মানবজাতির মধ্যে সবচেয়ে মহৎ ব্যক্তিকে দেখতে চান তাহলে ভিক্ষুকের আবরণে ঐ রাজপুত্রের দিকে তাকান- যার সাধুতাই মানুষের মাঝে অতি মহান-আব্দুল আতাহিয়া, এক মুসলিম কবি।

৩. পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম বুদ্ধই মুক্তির বারতা ঘোষণা করলেন। ব্যক্তিক ঈশ্বর কিংবা দেব-দেবীর এতটুকুও সাহায্য ব্যতিরেকেই যে কোন ব্যক্তি স্বচেষ্টায় এ মুক্তি অর্জন করতে সক্ষম। তিনি সবাইকে আত্ননির্ভরতা, সাধুতা, শিষ্টাচার, বোধি, শান্তি ও সর্বজনীন প্রেম ও মৈত্রীর মতবাদকে গ্রহণ করার জন্য উপদেশ দিয়েছেন। তিনি জ্ঞান অর্জনের জন্য বেশী জোর দেন, কারণ প্রজ্ঞা ব্যতীত মুক্তি অসম্ভব- প্রফেসর ইলিয়ট, ‘বুড্ডিজম এন্ড হিন্দুইজম’।

৪. যদি কোন ধর্ম আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে সমান তালে চলে, তা হচ্ছে বৌদ্ধ ধর্ম- আলবার্ট আইনস্টাইন।
৫. বৌদ্ধধর্ম মূলত একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন যা ধর্মে গণতন্ত্র, সমাজে গণতন্ত্র ও রাজনীতিতে গণতন্ত্রকে তুলে ধরেছিল- ড. আহম্মেদ কর
৬. বৌদ্ধধর্মে অন্ধবিশ্বাসের স্থান নেই। ঔদার্যের দিক দিয়ে অতীতে যেমন এটা দুর্লভ ধর্ম ছিল এখনও তাই। এস-দেখ তর্ক করে ধর্মগ্রহণ করা না করার উদার মতবাদে বিশ্বাসী ছিলেন বুদ্ধ। অসহিষ্ণুতাকে তিনি পরম শত্রু মনে করতেন- ড. এস রাধাকৃষ্ণ ‘গৌতম দি বুদ্ধ।
৭. বুদ্ধকে যদি আদৌ ত্রাণকর্তা বলা হয়- ইহা শুধু এই অর্থে যে তিনি মানুষের মুক্তির পথ ‘নির্ব্বাণ’ আবিষ্কার করেছেন। কিন্তু সে পথ ধরে চলার দায়িত্ব অবশ্যই আমাদের -ভেন. ড. ডব্লিউ. রাহুলা, ‘হোয়াট দি বুদ্ধ টট’।
৮. বৌদ্ধধর্ম নিয়তই জানার ও দেখার ধর্ম। না জেনে না বুঝে বিশ্বাস স্থাপন করার ধর্ম নহে। বুদ্ধের ধর্ম এহি-পসসিকো গুণে গুণান্বিত অর্থাৎ এস দেখ আহ্বানের যোগ্য তবে না জেনে না বুঝে বিচার বিশ্লেষণ না করে কেবল বিশ্বাস স্থাপন করার ধর্ম নহে- ভেন. ড. ডব্লিউ. রাহুলা, ‘হোয়াট দি বুদ্ধ টট’।
৯. আমি অনেক বার বলেছি এবং আবারো বলতে চাই যে, বৌদ্ধ ধর্ম ও আধুনিক বিজ্ঞানের মধ্যে পারস্পরিক প্রজ্ঞা ও জ্ঞানের এক গভীর বন্ধন রয়েছে’- স্যার এডউইন আরনল্ড।

Facebook Comments Box

শেয়ার দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো
© All rights reserved © 2019 bibartanonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themesbazarbibart251
error: Content is protected !!