টানা ছয় বছর ধরে শতাধিক রোজাদারকে ইফতারি দেন রাজধানীর সবুজবাগের ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার রোজাদারদের হাতে ইফতারির প্যাকেট তুলে দেন ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের অধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি সংঘনায়ক ভদন্ত শুদ্ধানন্দ মহাথের
টানা তিন বছর ধরে শতাধিক রোজাদারকে ইফতারি দেন রাজধানীর সবুজবাগের ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার কর্তৃপক্ষ। এবার তারা প্রতিদিন ৩০০ জনকে ইফতারি দিচ্ছে। গতকাল বুধবার রোজাদারদের হাতে ইফতারির প্যাকেট তুলে দেন বিহারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বুদ্ধপ্রিয় মহাথের। ছবি: আবদুস সালাম
বিকেল চারটা ৪৫ মিনিট। ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের মূল ফটকের বাইরে লোকজনের ভিড় বাড়ছে। ফটকের ভেতরে অতীশ হলের সামনে ইফতারি বিতরণের আয়োজন চলছে। বড়সড় একটা টেবিলের ওপর ইফতারির প্যাকেট সাজানো। সামনে ইফতারি নিতে আসা মানুষের দীঘল সারি। একজন করে আসছেন, মহাবিহারের অধ্যক্ষের হাত থেকে ইফতারির প্যাকেট নিচ্ছেন।
এটা এখানকার প্রতিদিনের দৃশ্য। গতকাল বুধবার ঢাকায় সবুজবাগের অতীশ দীপঙ্কর সড়কের ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়। পুরো রমজান মাসজুড়ে চলবে এ কার্যক্রম। আশপাশের এলাকার অসহায়, দুস্থ রোজাদারদের মধ্যে প্রতিদিন এভাবে ইফতার বিতরণ করছে বিহার কর্তৃপক্ষ।
এখানে প্রতিদিন বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে ইফতারি দেওয়া হয়। সবাই ইফতারির প্যাকেট নিয়ে নিজের ঘরে ফেরেন। প্যাকেটে থাকে চপ, বেগুনি, পেঁয়াজু, ছোলা ভুনা, শাহি জিলাপি ও মুড়ি।
ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার ২০১৩ সাল থেকে দুস্থ ও অসচ্ছল রোজাদারদের মধ্যে ইফতারি বিতরণ করে আসছে। এ বছরও চলছে এই আয়োজন।
বিহার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে সিঙ্গাপুর প্রবাসী এক ব্যক্তির ব্যক্তিগত অনুদানে ইফতারি বিতরণ কার্যক্রম চালু হয়। এবার তিনি অনুদান না দিলেও বিহারের নিজস্ব তহবিল থেকে ইফতারি দেওয়া হচ্ছে। ১৯৬০ সালে বিহারটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এখানে ৭৭০ জন অনাথ ছেলে আছে। বিহারই তাদের পড়াশোনা ও থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করছে।
বৌদ্ধবিহারটিতে রমজান মাসে প্রতিদিন বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে ইফতারি দেওয়া হয়। ইফতারি নিতে আসে আশপাশের এলাকার অসহায় ও দুস্থ রোজাদারেরা।