বান্দরবানে বৌদ্ধ ধর্মীয় এক গুরুকে (ভান্তে) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আরেক ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে। জেলা সদরের কোহালং ইউনিয়নের বাকীছড়া তুংখ্যং পাড়ার বৌদ্ধ বিহারে এই ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম সরওয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহত ভান্তের নাম মংথুই সাং (নাইন্দা ভিক্ষু-৭৮)। তাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ম্রায় থোই নামের আরেক ভান্তের বিরুদ্ধে।
এলাকাবাসীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার সময় মংথুই সাংকে ম্রায় থোই নামের আরেক ভান্তে কুপিয়ে হত্যা করেন। তাদের দাবি, এ দুই ভান্তের মধ্যে কয়েকদিন ধরে ঝগড়া-বিবাদ চলছিল। আজ ১১টার দিকে এলাকার লোকজন বৌদ্ধ বিহারের রান্নাঘরে গিয়ে তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে এলাকাবাসী সন্দেহভাজন ভান্তেকে আটক করলেও তিনি পালিয়ে যান। এলাকাবাসীরা আরও জানান, ভান্তে ম্রায় থোই মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন।
কুহালং ইউপি চেয়ারম্যান চানু প্রু বলেন, ‘সকালে দুই ভান্তের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ম্রায় থোই বিহারের পাশে রান্নাঘরে থাকা দা দিয়ে মংথুই সাং এর মাথায় কোপ দেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।’
এ বিষয়ে বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. গোলাম সরোয়ার বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করেছি। হত্যাকারীকেও ধরার চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’