1. pragrasree.sraman@gmail.com : ভিকখু প্রজ্ঞাশ্রী : ভিকখু প্রজ্ঞাশ্রী
  2. avijitcse12@gmail.com : নিজস্ব প্রতিবেদক :
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৫১ পূর্বাহ্ন

ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে মানিকছড়ি রাজ মহামুনি বুদ্ধ মেলা ১৪ এপ্রিল

প্রতিবেদক
  • সময় শুক্রবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৮
  • ৮৩৭ পঠিত

অংশেপ্রু মারমা অংশু:

বৈশাখ মানে অনন্দ,এ আনন্দ সমতলে চেয়ে দ্বিণ হয় পাহাড়ে বসবাসরত সম্প্রদায়ের মাঝে।বৈসাবি উৎসব ও বাংলা নববর্ষবরণকে ঘিরে পাহাড়ী – বাঙ্গালীদের মধ্যে শুরু হয় উৎসবে আমেজ।পাহাড়ের মারমা,চাকমা ও ত্রিপুরাদের নিজস্ব ঐতিহ্য, কৃষ্টি,সংস্কৃতি ধারণ করে ঐতিহ্য পোষাক পরিধান করে বাংলা নববর্ষকে বিদায় ও বরণ করে থাকে।মারমা – সাংগ্রাই,চাকমা -বিজু,ত্রিপরা – বৈজু উৎসব।এ উৎসবের আনন্দের মাত্রা দ্বিগুন বাড়িয়ে দেয় মং রাজ আবাসস্থল মানিকছড়ি মহামুনি বুদ্ধ বৈশাখী মেলা।আগামী ১৪ এপ্রিল রোজ শনিবার সারাদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১৩৫ তম মং রাজ আবসস্থল মহামুনি বুদ্ধ মেলা।এ মেলাকে ঘিরে রাজ পরিবারের স্বত্তাধিকারী মেজ কুমার সুইচিপ্রু ‘ এর নেতৃত্বে মেলা পরিচালনা কমিটি,উপ – কমিটি।মেলাকে সুন্দর সুশৃঙ্খল ভাবে সম্পন্ন করার জন্য নিরাপত্তা জোরধার করেছেন উপজেলা প্রশাসন।মেলা পরিচালনা কমিটি পক্ষে গঠন করা হয়েছে সেচ্ছাসেবক উপ কমিটি। খাগড়াছড়ি জেলা একমাত্র বৈসাবি উৎসবে মেলা বসে মং রাজ অাবাসস্থল মানিকছড়ি মহামুনি বুদ্ধ মেলা।প্রতি বছরের ন্যায় এবছর ও তিন পার্বত্য জেলা পাহাড়ী – বাঙ্গালী ১০ সহশ্রাধিক দেশী/ বিদেশী লোকে সমাগন হবে এ মেলায়।
মং রাজা প্রয়াত মংপ্রুসাইন বাহাদুরের রাজত্বকাল থেকে এ মেলা উৎযাপিত হয়ে আসছে।লোকে মুখে জানা যায় – এক সময় মহামুনি মেলা হতো একমাত্র চট্টগ্রাম জেলা রাউজান উপজেলা পাহাড়তলী মহামুনিতে।সে পাহাড়তলী মহামুনি মেলাকেও মং রাজা উত্তরাধিকারীরা আয়োজন করতো।তখন পুরো চট্টগ্রাম বিভাগে বৌদ্ধ ধর্মলম্বীরা একমাত্র মহামুনি বুদ্ধ মেলা মিলিত হতো।মেলাটি মাসখানেক আয়োজন হতো।পরবর্তীতে ১৫ দিন মেলা বসতো।একসময় রাজারা সেখানে বড়ুয়া বৌদ্ধ কাছে উক্ত মহামুনি বিহারটি স্থানান্তর করে পরবর্তীতে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি মানিকছড়িতে মং রাজারা আবাসস্থল গড়ে তুলে এবং মহামুনি বুদ্ধটি মায়ানমার থেকে এনে প্রতিস্থাপন করেন।তখন থেকে এ মহামুনি বুদ্ধ মেলা উৎপত্তি হয় বলে জানা যায়।এক সময় শুধু বৌদ্ধ ধর্মলম্বীরা এ মেলা ব্যাপক সমাগন হতো কিন্তু কালে পরিবর্তনে এখন এ মেলা বাঙালী প্রতিবেশীরা উৎসাহ উদীপনা নিয়ে মেলায় অংশ গ্রহণ থাকেন।মেলায় আগত ব্যবসায়ীরা স্থল সাজানো শুরু করেছেন এবং কিছু ব্যবসায়ীরা মালামাল স্টোপ করে রাখার কাজের ব্যস্ত সময় কাটাছে।

Facebook Comments Box

শেয়ার দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো
© All rights reserved © 2019 bibartanonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themesbazarbibart251
error: Content is protected !!