২০১৭ সালের ২ জুন স্থানীয় যুবলীগ নেতা নুরুল ইসলাম নয়নের লাশ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে লংগদু উপজেলা সদরের তিন পাহাড়ি গ্রাম তিনটিলা, বাইট্যাপাড়া ও মানিকজোড় ছড়ায় পাহাড়িদের বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। নয়নের লাশ উদ্ধার করা হয় ২০১৭ সালের ১ জুন খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা সড়কের চারমাইল এলাকা থেকে। পরদিন ওই সহিংস হামলার ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তদের সহিংসতার আগুনে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয় তিনটি গ্রামের ২১৩ পাহাড়ি পরিবারের বাড়িঘর। তবে সরকারি তালিকায় সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ১৭৬। বাকিরা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত। সরকার বাড়িঘর তৈরি করে দেয়ার উদ্যোগ নিলেও ঠিকাদার কেউ টেন্ডার না নেয়ায় নতুন ঘর হয়নি কারও। আগামী ১৬ এপ্রিল তৃতীয় দফায় আহ্বান করা দরপত্রের সিডিউল জমার শেষ দিন বলে জানিয়েছে লংগদু উপজেলা প্রশাসন। এদিকে বিজু উৎসব উপলক্ষে শনিবার সকালে লংগদুর তিনটিলা গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত ২১৩ পরিবারের মধ্যে প্রত্যেক পরিবারকে ১ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা করেছে খাগড়াছড়ি জেলা ত্রাণ সংগ্রহ ও বিতরণ কমিটি। কমিটির সদস্য সচিব ও খাগড়াছড়ির পেরাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তপন বিকাশ চাকমার নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টিম এসব আর্থিক সহায়তা বিতরণ করে। এ সময় লংগদু ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ কমিটির আহ্বায়ক মণি শংকর চাকমা, লংগদু সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কলিন মিত্র চাকমা ও আটারকছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঙ্গল কান্তি চাকমাসহ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এতে আনুষ্ঠানিকভাবে আসন্ন বিজু উৎসব বর্জনের ঘোষণা দেন ক্ষতিগ্রস্তরা। লংগদু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাদ্দেক মেহ্দী ইমাম বলেন, ১৭৬ পরিবারের বাড়িঘর তৈরি করে দিতে এ পর্যন্ত তিন দফা টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। প্রথম দু’দফায় কোনো ঠিকাদার দরপত্র নেননি।
বৈসাবি মেলা শেষ : এদিকে রাঙ্গামাটিতে তিন দিনব্যাপী বৈসাবি (বৈসু, সাংগ্রাই, বিজু) মেলা শেষ হয়েছে। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট যৌথ উদ্যোগে এ মেলার আয়োজন করে। শহরের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী বিজু সাংগ্রাই বৈসুক বিষু মেলা-২০১৮ শুরু হয় বৃহস্পতিবার। মেলায় বসানো হয় পাহাড়িদের নিজস্ব সংস্কৃতির পোশাক, অলঙ্কার, খাবারসহ বিভিন্ন ব্যবহার্য সামগ্রীর প্রদর্শনী ও বিক্রয় স্টল।