চতুর্দশ তিব্বতি ধর্মগুরু দালাই লামাকে খুনের ছক করতে জেএমবি গোপন বৈঠক করেছিল হায়দরাবাদে৷ সেই বৈঠকে স্থির হয়, বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণ ঘটানো হবে৷ এমনই চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি দিয়েছে ধৃত জঙ্গি নুর মহম্মদ৷ এদিকে জেরায় জঙ্গি নুর জানিয়েছে, কোরান পড়ানোর নামেই তাকে হায়দরাবাদে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ তবে সেখানে গিয়ে জঙ্গি কার্যকলাপে লিপ্ত হতে হয়৷ সেখানেই গোপন ডেরায় নুরকে বলা হয়েছিল দলাই লামাকে সরিয়ে দিতে হবে৷ সেই লক্ষ্যেই বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল৷
ধৃত এই নুর মহম্মদ বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের অন্যতম চক্রী। মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের বাসিন্দা৷ চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি চতুর্দশ তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামা বিহারের বুদ্ধগয়া ঘুরে যাওয়ার পরে সেখানে আইইডি বিস্ফোরণ হয়৷ সেই বিস্ফোরণের ঘটনার পরিকল্পনা এবং আইইডি বোমা রাখার অভিযোগে নুর মহম্মদকে নিয়ে মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ৷
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এক বিশেষ অভিযানের গ্রেফতার করা হয় নুর মহম্মদকে। শুক্রবার তাকে ব্যাংকশাল কোর্টে তোলা হয়৷ বিচারক নুরকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন৷
বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে প্রথমে মুর্শিদাবাদ এবং দার্জিলিঙের ফাঁসিদেওয়া থেকে প্রথমে পয়গম্বর শেখ এবং জামিরুল শেখ নামে দুই জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এসটিএফ৷ ধৃত দুই জঙ্গিকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে গ্রেফতার করা হয় শিষ মহম্মদ নামে এক জঙ্গিকে। সেই জেরার সূত্র ধরেই গ্রেফতার করা হয় চতুর্থ জঙ্গি আহমেদ আলিকে। নিউ ফারাক্কা স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম নম্বর-২ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল চতুর্থ জঙ্গিকে।
সেই ঘটনার প্রায় আড়াই সপ্তাহ পরে পুলিশের জালে ধরা পড়ল পঞ্চম জঙ্গি। মুর্শিদাবাদের নুর মহম্মদ। যদিও বিহারের বুদ্ধ গয়ার সঙ্গে এই রাজ্যের যোগ অনেক আগেই মিলেছিল। মুর্শিদাবাদ থেকেই বিস্ফোরক গিয়েছিল বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা।