বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দেশের ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিকের সাথে সুব্রত বড়ুয়াকে ভাষা ও সাহিত্যে ২০১৮ সালের একুশে পদক হাতে তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ একুশে পদক প্রদান করেন। একুশে পদক বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা।
অন্যান্যরা হলেন ভাষা আন্দোলনের জন্য এজেডএম তকিউল্লাহ (মরণোত্তর) ও অধ্যাপক মির্জা মাজহারুল ইসলাম একুশে পদক পেয়েছেন। আর সংগীতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পদক পেয়েছেন শেখ সাদি খান, সুজয় সাম, ইন্দ্র মোহন রাজবংশী, খুরশিদ আলম ও মতিউল হক খান।
নৃত্যকলা ও অভিনয় শিল্পের জন্য যথাক্রমে মিনু হক ও হুমায়ুন ফরীদি (মরণোত্তর) একুশে পদক পেয়েছেন। আর নাটক, চারুকলা ও আলোকচিত্রে এবছর একুশে পদক পেয়েছেন যথাক্রমে নিখিল সেন, কালিদাস কর্মকার ও গোলাম মোস্তফা।
রণেশ মৈত্র, অধ্যাপক জুলেখা হক (মরণোত্তর) ও ড. মইনুল ইসলাম সাংবাদিকতা, গবেষণা ও অর্থনীতিতে সেই সাথে সমাজ সেবায় ইলিয়াস কাঞ্চনকে এবারের একুশে পদক দেওয়া হয়।
ভাষা ও সাহিত্যে একুশে পদক পেয়েছেন সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম খান (কবি হায়াত সাইফ), রবিউল হোসেন ও খালেকদাদ চৌধুরী।
তাদের সবাইকে একটি করে পদক, সনদ ও দুই লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও সচিব মো. ইবরাহিম হোসেন খান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। পদক প্রদান অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম।
সুব্রত বড়ুয়া
জন্ম .
১ জানুয়ারি ১৯৪৬ সালে চট্টগ্রামে ।
শিক্ষা : প্রবেশিকা : মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুল, চট্টগ্রাম (১৯৬১); উচ্চ মাধ্যমিক (বিজ্ঞান): চট্টগ্রাম কলেজ (১৯৬৩); স্নাতক সম্মান (পদার্থবিজ্ঞান) : চট্টগ্রাম কলেজ (১৯৬৬); স্নাতকোত্তর (পদার্থবিজ্ঞান) : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৬৮)। পেশা : চাকরি। পরিচালক (অবসরপ্রাপ্ত), বাংলা একাডেমী, ঢাকা।
প্রকাশিত গ্রন্থ: কবিতা: হলুদ বিকেলের গান (১৯৮৫)। উপন্যাস: গ্রহণের দিন (১৯৮৫); ধলপহর (২০০)। কিশোর উপন্যাস: দিনগুলি হায় সোনার খাঁচায় (১৯৮৮)। ছোটগল্প; জোনাকি শহর (১৯৭০); কাচপোকা (১৯৭৫); অনধিকার (১৯৭৭); আত্মচরিত ও অন্যান্য গল্প (১৯৮৯); ভালোবাসা ভালোবাসা (১৯৮৯); তৃণা (১৯৯৩)। প্রবন্ধ-গবেষণা: দস্তয়েভস্কি (১৯৮৫); মোহাম্মদ আবদুল জব্বার: জীবন ও কর্ম (১৯৯৫); বিজ্ঞানচর্চা: প্রসঙ্গ ও অনুষঙ্গ (১৯৮৭); আমাদের এই বাংলাদেশ (১৯৯০); বাংলাদেশের ইতিহাস: প্রাচীন থেকে পলাশী (১৯৯৪); ইতিহাসের পলাশী (২০০৪); ইতিহাসে ; ইতিহাস বাংলাদেশ (২০০৫)। জীবনী : অশোক বড়ুয়া (১৯৯০); শহীদুল্লা কায়সার (১৯৮৮)। বিজ্ঞান: চাঁদে প্রথম মানুষ (১৯৬৯); বিদ্যুতের কাহিনী (১৯৮৪); বিজ্ঞানের ইতিকথা: সন্ধানী মানুষ (১৯৮৮), সৌরজগৎ (১৯৮৫); বিজ্ঞান ও মহাশূন্য (১৯৮৯); পরমাণু শক্তি (১৯৮৯); শিশু-কিশোর বিজ্ঞান সমগ্র (২০০১); গ্রিনিচ মানমন্দির (২০০২)। অনুবাদ: দি রাইট স্টাফ; কণা, কোয়ান্টাম ও তরঙ্গ (১৯৮৪); আমেরিকার ভৌগোলিক রূপরেখা (১৯৮৬); শঙ্খচিল (১৯৯৪); এমিল ও গোয়েন্দা বাহিনী (১৯৭২); নিশ্চয়তার সমীরণ (২০০৪); সরল পথে চলা (২০০৫); গণিতের রাজ্যে এলিস (২০০৫)। সম্পাদনা; অমর একুশে বক্তৃতা (যৌথ, ১৯৮৪); বাংলা একাডেমী ৪০ বছর পূর্তি স্মারকগ্রন্থ (যৌথ, ১৯৯৬); ছোটদের অভিধান ( যৌথ, ১৯৮৩); ভাষা সম্পাদক: বাংলা একাডেমী বিজ্ঞান বিশ্বকোষ (৩য় খ- ২০০১ ও ৪র্থ খ- ২০০২)। পুরস্কার: অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরুস্কার (১৩৮৮, ১৩৯১, ১৩৯৪); বাংলা একাডেমী পুরুস্কার (১৯৮৩); চট্টগ্রাম বিজ্ঞান পরিষদ স্বর্ণ পদক (১৯৯৭)।