বিবর্তন ডেস্ক: বাংলাদেশী বৌদ্ধদের ২য় সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু, উপ-সংঘরাজ, শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ, শাসন শোভন ড.জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির
বার্ধক্যজনিত রোগে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় তাঁকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককের ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল সেন্টারে আনা হয়েছে। তার শারিরীক পরিক্ষা নিরিক্ষা চলছে। বর্তমানে তিনি ওয়াট মাহাতাব নামে এক বৌদ্ধবিহারে অবস্থান করছেন। এমনটি জানাছেন পূজনীয় ভান্তের সাথে অবস্থানরত ভদন্ত এম, বোধিমিত্র থের।
সব কিছু ঠিক থাকলে মাসব্যাপী থাইল্যান্ডে অবস্থান করে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে গত ৫ জানুয়ারি তাঁকে চট্টগ্রাম ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।রাতে বক্ষরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ সরোজ চৌধুরী উপ-সংঘরাজ ভান্তেকে পর্যবেক্ষণ করেন।বিভিন্ন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার নির্দেশ প্রদান করেন।
উপ-সংঘরাজের অসংখ্য ভক্ত, গুণগ্রাহী, শিষ্য-প্রশিষ্য, শুভানুধ্যায়ী যারা রয়েছেন তাদেরকে পুণ্যদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত: উপ-সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির মহোদয় ৯৩ বছর বয়সেও উত্তরবঙ্গ, খাগড়াছড়িসহ দূর দূরান্তে ছুটে যান সমাজ সদ্ধর্মের উন্নয়নে। বৌদ্ধ সমাজ বিনির্মাণে এই মহাপুরুষের অবদান স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে শত শতাব্দী। এই মহান কিংবদন্তী সংঘ মনীষা যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন বৌদ্ধ সমাজ উপকৃত হবে। তিনি এ যুগের কৃপাশরণ। ৯৩ বছর বয়সেও তিনি প্রতিনিয়ত সমাজ সদ্ধর্মের উন্নয়নের চেতনায় বিভোর থাকেন। এ রকম মহাপুরুষের জন্ম সব সময় হয় নাই। যে মাটিতে এরকম পুণ্য পুরুষের জন্ম হয় সে মাটি, দেশ ধন্য হয়। উপ- সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্হবির মহোদয় দীর্ঘজীবী হয়ে তাঁর কল্যাণ স্পর্শে, তাঁর পুণ্য পরশে বৌদ্ধ সমাজ গগনকে আরো সমুজ্জ্বল করুক, আরো বিকশিত করুক এ প্রার্থনা_তাঁর অসংখ্য ভক্ত-গুণগ্রাহীর।