ভাষা ও সাহিত্যে একুশে পদক পাচ্ছেন সুব্রত বড়ুয়া সহএকুশজনকে একুশে পদকের জন্য মনোনীত করেছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় পদকের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করেছে।
সমাজসেবায় এবার সম্মানজনক এই পদক পাচ্ছেন নিরাপদ সড়কের জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা ইলিয়াস কাঞ্চন। ভাষা আন্দোলনে প্রয়াত আ জ ম তকীয়ুল্লাহর সঙ্গে একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন অধ্যাপক মির্জা মাজহারুল ইসলাম। প্রয়াত হুমায়ূন ফরীদিকে (হুমায়ূন কামরুল ইসলাম) অভিনয়ের জন্য পদকে ভূষিত করা হয়েছে।
সংগীতে পদক পাচ্ছেন শেখ সাদী খান, সুজেয় শ্যাম, ইন্দ্র মোহন রাজবংশী, মো. খুরশীদ আলম ও মতিউল হক খান। নৃত্যে মীনু হক, নাটকে নিখিল সেন (নিখিল কুমার সেনগুপ্ত), চারুকলায় কালিদাস কর্মকার এবং আলোকচিতে গোলাম মুস্তাফা এবার একুশে পদক পাচ্ছেন।
সাংবাদিকতায় রণেশ মৈত্র, গবেষণায় প্রয়াত ভাষাসৈনিক অধ্যাপক জুলেখা হক, অর্থনীতিতে মইনুল ইসলাম, ভাষা ও সাহিত্যে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম খান (কবি হায়াৎ সাইফ), সুব্রত বড়ুয়া, রবিউল হুসাইন ও মরহুম খালেকদাদ চৌধুরী পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
সুব্রত বড়ুয়া
জন্ম .
১ জানুয়ারি ১৯৪৬ সালে চট্টগ্রামে ।
শিক্ষা : প্রবেশিকা : মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুল, চট্টগ্রাম (১৯৬১); উচ্চ মাধ্যমিক (বিজ্ঞান): চট্টগ্রাম কলেজ (১৯৬৩); স্নাতক সম্মান (পদার্থবিজ্ঞান) : চট্টগ্রাম কলেজ (১৯৬৬); স্নাতকোত্তর (পদার্থবিজ্ঞান) : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৬৮)। পেশা : চাকরি। পরিচালক (অবসরপ্রাপ্ত), বাংলা একাডেমী, ঢাকা।
প্রকাশিত গ্রন্থ: কবিতা: হলুদ বিকেলের গান (১৯৮৫)। উপন্যাস: গ্রহণের দিন (১৯৮৫); ধলপহর (২০০)। কিশোর উপন্যাস: দিনগুলি হায় সোনার খাঁচায় (১৯৮৮)। ছোটগল্প; জোনাকি শহর (১৯৭০); কাচপোকা (১৯৭৫); অনধিকার (১৯৭৭); আত্মচরিত ও অন্যান্য গল্প (১৯৮৯); ভালোবাসা ভালোবাসা (১৯৮৯); তৃণা (১৯৯৩)। প্রবন্ধ-গবেষণা: দস্তয়েভস্কি (১৯৮৫); মোহাম্মদ আবদুল জব্বার: জীবন ও কর্ম (১৯৯৫); বিজ্ঞানচর্চা: প্রসঙ্গ ও অনুষঙ্গ (১৯৮৭); আমাদের এই বাংলাদেশ (১৯৯০); বাংলাদেশের ইতিহাস: প্রাচীন থেকে পলাশী (১৯৯৪); ইতিহাসের পলাশী (২০০৪); ইতিহাসে ; ইতিহাস বাংলাদেশ (২০০৫)। জীবনী : অশোক বড়ুয়া (১৯৯০); শহীদুল্লা কায়সার (১৯৮৮)। বিজ্ঞান: চাঁদে প্রথম মানুষ (১৯৬৯); বিদ্যুতের কাহিনী (১৯৮৪); বিজ্ঞানের ইতিকথা: সন্ধানী মানুষ (১৯৮৮), সৌরজগৎ (১৯৮৫); বিজ্ঞান ও মহাশূন্য (১৯৮৯); পরমাণু শক্তি (১৯৮৯); শিশু-কিশোর বিজ্ঞান সমগ্র (২০০১); গ্রিনিচ মানমন্দির (২০০২)। অনুবাদ: দি রাইট স্টাফ; কণা, কোয়ান্টাম ও তরঙ্গ (১৯৮৪); আমেরিকার ভৌগোলিক রূপরেখা (১৯৮৬); শঙ্খচিল (১৯৯৪); এমিল ও গোয়েন্দা বাহিনী (১৯৭২); নিশ্চয়তার সমীরণ (২০০৪); সরল পথে চলা (২০০৫); গণিতের রাজ্যে এলিস (২০০৫)। সম্পাদনা; অমর একুশে বক্তৃতা (যৌথ, ১৯৮৪); বাংলা একাডেমী ৪০ বছর পূর্তি স্মারকগ্রন্থ (যৌথ, ১৯৯৬); ছোটদের অভিধান ( যৌথ, ১৯৮৩); ভাষা সম্পাদক: বাংলা একাডেমী বিজ্ঞান বিশ্বকোষ (৩য় খ- ২০০১ ও ৪র্থ খ- ২০০২)। পুরস্কার: অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরুস্কার (১৩৮৮, ১৩৯১, ১৩৯৪); বাংলা একাডেমী পুরুস্কার (১৯৮৩); চট্টগ্রাম বিজ্ঞান পরিষদ স্বর্ণ পদক (১৯৯৭)।