প্রায় দেড়শ বছরেরও পুরনো পটিয়া উপজেলার ভাটিখাইন ইউনিয়নের ঠেঁগরপুনি বুড়ো গোঁসাই বিহারে লাখো তীর্থযাত্রীর ঢল নেমেছে। বুধবার ভোর থেকে পটিয়া ছাড়াও দেশের দূর-দূরান্ত থেকে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষরা পুণ্য কামনার্থে বিহারে যান। প্রাচীন এ বিহার বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তীর্থস্থান হিসেবে খ্যাত। প্রতি বছরের মতো এবারও মাঘী পূর্ণিমা উপলক্ষে এলাকায় বসেছে মেলা। মেলা উপলক্ষে মন্দিরের আশপাশে বিভিন্ন ধরনের শতাধিক দোকান গড়ে ওঠেছে। আগামী শনিবার পর্যন্ত এ মেলা চলবে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরাকান মহাসড়কের পটিয়া পৌর সদর থেকে ছন্দা সিনেমা হলের পাশ ঘেঁষে দক্ষিণ দিকে যাওয়া রাস্তা প্রায় চার কিলোমিটার পেরুলে ভাটিখাইন-ছনহরা সীমান্তে বুড়ো গোঁসাইর প্রাচীন এ মন্দিরটি। বুড়ো গোঁসাই বৌদ্ধ মন্দির ছাড়াও বৈজয়ন্তী বিহার, সাধারণ মৈত্রী বিহার ও সংঘরাজ শাক্যমুনি বৌদ্ধবিহার রয়েছে। এবার তীর্থযাত্রীদের জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছেন ওই এলাকার বাসিন্দা ও ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তড়িৎ চৌধুরীর পরিবার। ওই পরিবারের প্রয়াত বৃষকেতু চৌধুরী ও সরোজা বালা চৌধুরীর পুণ্যার্থে তীর্থযাত্রীদের জন্য শাক্যমুনি বিহারের পাশে প্রথম বারের মতো মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন। ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি তীর্থযাত্রীদের মধ্যে এবার খাবার পরিবেশন করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে এ মেলা উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, পটিয়া উপজেলা আওযামী লীগ সভাপতি আ.ক.ম. শামসুজ্জামান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, পটিয়া পৌর কাউন্সিলর গোফরান রানা, এমএনএ নাসির, প্রজ্ঞাজ্যোতি বড়ুয়া লিটন, ভাটিখাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ বখতিয়ার উদ্দিন ও ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার নজরুল ইসলাম।
প্রতি বছর একবার কঠিন চীবর দান উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এখানে রয়েছে মহামায়ার স্বপ্ন, সিদ্ধার্থের জন্ম, জরা মরণ দর্শন, পঞ্চবর্গীয় শিষ্য, সিদ্ধার্থের গৃহত্যাগ কঠোর সাধনা, মহাপরিনির্বাণ ইত্যাদি। ঠেঁগরপুনি সার্বজনীন সংঘরাজ শাক্যমুনি বিহার কমিটির সহ-সভাপতি ও স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তড়িৎ চৌধুরী বলেন, মাঘী পূর্ণিমা উপলক্ষে এবারও দেশের দূর-দূরান্ত থেকে তীর্থযাত্রীরা এসেছেন। ভক্তরা মন্দিরে পূজার্চনা, সংঘদান, অষ্ট পরিষ্কার দান, ধর্মীয় সভাসহ নানা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন।