বুদ্ধ মানুষের আধ্যাত্মিক উন্নতির উপর খুব জোর দিয়েছিলেন। মানুষের মধ্যে একতা ও মৈত্রীর জন্ম হতে পারে পরস্পরে মাঝে অহিংসামূলক ব্যবহারে। ব্যক্তি মানুষের মনের উন্নতি না হলে সমাজের উন্নতি সম্ভব নয়Ñএ কথা বুদ্ধ জোর দিয়ে বলেছেন যে, ব্যক্তির উন্নতির মধ্যেই সমষ্টির উন্নতি নিহিত। অস্ত্রবল দ্বারা সমাজের মধ্যে একতার সুস্টি হলেও তা সাময়িক, তা কখনোই স্থায়ী নয়। মহামতি অশোক এই আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। পরস্পরের সৌজন্যে ও ত্যাগেই একতার জন্ম হয়। এজন্য বুদ্ধ সমাজের নৈতিক উন্নতি ও জাগরণের জন্য ভিক্ষুসঙ্ঘকে কাজে নিয়োজিত করেছিলেন। এজন্য সঙ্ঘ সংখ্যায় কম হলেও অল্প সময়ে তঁাঁরা সর্বসাধারণেরঅতি প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন, তাঁরা নিজেদের আত্মশক্তি ও কর্তব্যণিষ্ঠায় সমসাময়িক অন্যান্য মতবাদী সম্প্রদায়কে বহু পেছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছিলন। তারই ফল পরবর্তীকালের নালন্দা, অজন্তা, বিক্রমশীলা, তক্ষণীলা, পাহাড়পুর, ময়নামতী। সঙ্ঘশক্তি সর্বসাধারণের শিক্ষায়, শিল্পচর্চায়, জ্ঞানচর্চায় অমূল্য অবদান রেখে গেছেন। ইতিহাস তার সাক্ষ্য, ঐতিহাসিক নিদর্শনসমূহ তার প্রমাণ।