আর্য্যশ্রাবক জ্ঞানীশ্বর মহাস্থবিরের ১৩০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ৫ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সমাপ্ত
পটিয়া উপজেলাস্থ ঊনাইনপূরা গ্রামবাসীর উদ্যোগে বুদ্ধ প্রতিবিম্বের জীবন্যাস, নবরূপে সংস্কারকৃত ঊনাইনপূরা সুখলাল-সুবেদার মঠ (মন্দির) উৎসর্গ, আর্য্যশ্রাবক জ্ঞানীশ্বর মহাস্থবিরের ১৩০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে গণপ্রব্রজ্যা ও ৫দিনব্যাপি পটঠান পাঠ আগামী ৪ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি ঊনাইনপূরা সুখলাল-সুবেদার মঠ (মন্দির) প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্রকল্যাণ সংসদের সহযোগিতায় ঊনাইনপূরা সুহৃদ সম্মিলনীর তত্বাবধানে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি থেকে উদ্বোধন করেন বাংলাদেশি বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু সংঘরাজ ড. ধর্মসেন মহাস্থবির।
বুদ্ধ প্রতিবিম্বের জীবন্যাস, নবরূপে সংস্কার করা ঊনাইনপুরা সুখলাল-সুবেদার মঠ (মন্দির) উৎসর্গ, আর্য্যশ্রাবক জ্ঞানীশ্বর মহাস্থবিরের ১৩০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গণপ্রব্রজ্যা ও পাঁচ দিনব্যাপী পটঠান পাঠের সমাপনী অনুষ্ঠান আর্শীবাদক ছিলেন বাংলাদেশি বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু সংঘরাজ ভদন্ত ড. ধর্মসেন মহাস্থবির।
প্রধান অতিথি ছিলেন ভদন্ত সত্যপ্রিয় মহাস্থবির। উদ্বোধক ছিলেন ড. সংঘপ্রিয় মহাস্থবির, প্রধান সর্দ্ধমদেশক ছিলেন ভদন্ত লোকজিৎ থের। বিশেষ সর্দ্ধমদেশক ছিলেন ভদন্ত এল অনুরুদ্ধ মহাস্থবির। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভদন্ত শীলরক্ষিত মহাস্থবির।
ভদন্ত জয়সেন ভিক্ষুর সঞ্চালনায় পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন ব্যাংকার রঞ্জন বড়ুয়া। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রণব বড়ুয়া অর্ণব। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সাবেক যুগ্ম সচিব কনক কান্তি বড়ুয়া, অরবিন্দ বড়ুয়া, মিলিন্দরাজ বড়ুয়া, নিত্যময় চৌধুরী, তরুণ কান্তি বড়ুয়া, জীবেন্দু বিকাশ বড়ুয়া, তুষিত বড়ুয়া, এ্যাপোলো বড়ুয়া ফুলু প্রমুখ।
ওইদিন সকালে পটঠান পাঠের সমাপনীতে সদ্ধর্মদেশনা দেন ভদন্ত বিনয়ালংকার ভিক্ষু, ভদন্ত উপতিষ্য ভিক্ষু, ভদন্ত মুদিতাপাল ভিক্ষু। এ সময় পটঠান পাঠে অংশ নেওয়া ভিক্ষুদের সম্মাননা জানানো হয়।