প্রেস বিজ্ঞপ্তি:বর্তমান সরকারের গৃহীত বিভিন্ন মেগা ও স্থানীয় উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সাধারণ জনগণকে অবহিত করণের কর্মসূচি হিসেবে নন্দনকাননস্থ চট্টগ্রাম বৌদ্ধ মন্দিরে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে এক সৌজন্যে সাক্ষাত করেন যুবলীগ নেতা ফরিদ মাহমুদ।
এ সময় এক মত বিনিময় সভা সংগঠনের চেয়ারম্যান অজিত রঞ্জন বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
পরে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির চেয়ারম্যান উপস্থিত বৌদ্ধ সমিতির নেতৃবৃন্দকে সকলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। এতে সূচনা বক্তব্য রাখতে গিয়ে যুবলীগ নেতা ফরিদ মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের আমল বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বর্ণযুগ। বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ শুরু হয়েছে। এটি সম্পন্ন হলে আমাদের বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে ভাবতে হবে না। এদেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হয়েছে। সেতুটি এ অঞ্চলের ব্যবসা–বাণিজ্যে উন্নয়নের নবদিগন্তের দ্বার খুলে দেবে। অথচ পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ চলছে। এটি নিয়েও অনেক মাঠ ঘোলা করা হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিস্কাশন এবং খাল খননের জন্য সরকার ছয় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। চট্টগ্রামবাসীর সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য শেখ হাসিনা পানি শোধনাগারের কাজ চলছে। কর্ণফুলী ট্যানেল নির্মিত হলে নদীর ওপারে নতুন শিল্পাঞ্চল, নতুন শহর গড়ে ওঠার সম্ভাবনার পাশাপাশি দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রসার ঘটবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের জন্য তিন হাজার তিনশত কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। নির্মিত হবে সাড়ে আটশ কিলোমিটার উড়াল সড়ক। দক্ষিণ চট্টগ্রামে সংযোজিত হতে যাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন রেল লাইন। যা দোহাজারী হতে কক্সবাজার–ধুমধুম সীমান্ত পর্যন্ত যাবে। মতবিনিময় সভা পরিচালনা করেন যুগ্ম মহাসচিব অরুণ কুমার দেব। বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট এসোসিয়েশনের নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান লায়ন আদর্শ কুমার বড়ুয়া, সরোজ বড়ুয়া, প্রয়োতোষ বড়ুয়া, টিংকু বড়ুয়া, শচীভূষণ বড়ুয়া, রাজেন্দ্র বড়ুয়া,দীপংকর চৌধুরী, বৌদ্ধ সমিতি মহিলা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা ববি বড়ুয়া, অশোক বড়ুয়া, সৌরভ বিকাশ বড়ুয়া (বিতান), অনিল বড়ুয়া, পীযুষ কান্তি বড়ুয়া, সনত তালুকদার।
সভায় সরকারের মেঘাপ্রকল্প ছাড়াও ঢাকা সিটি মেট্টোরেল, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ,রপ্তানী আয় বৃদ্ধি, শ্রমিকের মজুরী, মাথাপিছু অর্থ, রেমিটেন্স প্রবাহ, সা রতার হার, খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন,মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের গৃহ নির্মাণ, নারীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি বৃদ্ধি, শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নে উপবৃত্তি, ডিজিটাল স্থাপনাসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন, জঙ্গিবাদ দমন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা সরকার করেছে। এ জন্য দেশ বিদেশে সরকার প্রশংসিত হয়েছে। অনুরূপভাবে চট্টগ্রামকে আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে আখতারশুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভার, বহদ্দারহাট এম এ মান্নান ও কদমতলী ফ্লাইওভার, দেওয়ানহাট ওভারপাস, মোহরা পানি শোধনাগার, মীরসরাই স্পেশাল ইকোনমিক জোন,ভাটিয়ারিতে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ চট্টগ্রামের প্রথম বাইপাস রোড,বাকলিয়া এক্সপ্রেস রোড, চাক্তাইখাল–কালুরঘাট বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণ,ফিরিঙ্গী বাজার চাক্তাই, পতেঙ্গা ফৌজদার হাট মেরিন ড্রাইভ রোডের নির্মাণ কাজ চলছে। সভাপতির বক্তব্যে অজিত রঞ্জন বড়ুয়া বলেন, এদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সব সময় মহান মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিল। একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে শেখ হাসিনা আরো একবার দেশের হাল ধরা উচিত। এ জন্য শেখ হাসিনা যে কাজ করছে তা দেশের প্রতিটি নাগরিককে জানাতে হবে। শেষে ফরিদ মাহমুদ উপস্থিত বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের হাতে সরকারের উন্নয়নের প্রচার পত্রটি সংগঠনের সভাপতিসহ সকলের হাতে তুলে দেন।