‘ছোটবেলায় পুরস্কার পাওয়াটা ছিল আমার কাছে খুব বড় আনন্দের বিষয়। সে সময়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পেয়ে আমি আপ্লুত হতাম। কিন্তু এখন দেখছি মানুষের ভালোবাসার চেয়ে বড় পুরস্কার আর কিছু হতে পারে না। মানুষের ভালোবাসাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় পুরস্কার। তাই আমি বেঁচে থাকতে চাই মানুষের ভালোবাসার মাঝে,’ চ্যানেল আইয়ে উপস্থাপনার আঠার বছরে পা রেখে এ কথা বলছিলেন নন্দিত উপস্থাপক মৌসুমী বড়ুয়া। চট্টগ্রাম জেলার রাউজানের মেয়ে তিনি। আজ থেকে আঠার বছর আগে কিশোরী মৌসুমী শখের বশে চ্যানেল আইয়ে উপস্থাপনায় এলেও কালের প্রবাহে ধীরে ধীরে তার সেই শখ পেশায় রূপান্তরিত হয়। এই আঠার বছর তিনি কেবল উপস্থাপনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেননি। প্রোগ্রাম ডিরেক্টর হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি কাজ করেছেন পথশিশু, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও প্রবীণদের নিয়েও। তিনি আরও বলেন, ‘আমার শ্রদ্ধেয় দুই শিক্ষক ফরিদুর রেজা সাগর স্যার ও শাইখ সিরাজ স্যারের সহযোগিতায় চ্যানেল আইয়ে আমার উপস্থাপনায় আসা এবং তাদের ভালোবাসাসিক্ত দিকনির্দেশনাই আমাকে আজ এতদূরে নিয়ে এসেছে। সেই সঙ্গে সহকর্মীদের সহযোগিতা ও দর্শকদের ভালোবাসা তো আছেই।’ বাবা সমীর বড়ুয়া, মা ঝর্ণা বড়ুয়া ও গুরুজনদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে সম্পূর্ণ সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠা মৌসূমী বড়ুয়া তার পেশার প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। গুরুজন তথা প্রতিটি মানুষকে সম্মান জানাতে ভালোবাসেন আশীর্বাদকামী এগিয়ে যাওয়া নারী মৌসুমী।