ইলা মুৎসুদ্দী:
আমাদের পরিবারে ছোট ছোট শিশু-কিশোরদের আমরা ধর্মীয় কাজে উৎসাহ দিতে খুবই অনীহা বোধ করি। কিরকম? এই যেমন অনেকের বাসার কাছেই বিহার, ওরা যদি বলে একটু বিহারে গিয়ে বন্দনা করে আসি বা বিহারে গিয়ে ঘুরে আসি তখন অভিভাবকরা যেতে দেন না। বলেন এখন পড়ে নাও, বিহারে পরে গেলেও চলবে। এতে করে সন্তানটির বিহারে যাবার মানসিকতা নষ্ট হয়ে যায়।
আবার, অনেকেই পূর্ণিমা-অমাবস্যা বা কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সন্তানদের বাসায় রেখে যেতে বেশী পছন্দ করেন। বলেন, তোমাদের বিহারে যেতে হবে না। টিচার আসবে, পড়ে নিও। এভাবে না যেতে যেতে ওদের বিহারে কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাবার আর ইচ্ছেটা জাগ্রত হয় না। কারণ পরিবারের বাঁধার কারণেই এরকম হয়ে গেছে। এখন তাকে শতবার বললেও সে যায় না। সে যায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে, আনন্দ ফুর্তি করতে।কারণ…, এরকম মানসিকতা ছোটকাল থেকেই অভিভাবকরা এভাবেই গড়ে দিয়েছেন।
আবার অনেক বাচ্চা আছে একটু সুযোগ পেলেই বিভিন্ন ধর্ম বই নিয়ে পড়তে বসে। এখানে ও অভিভাবকরা পড়তে উৎসাহিত করেন না বরং বলে থাকেন, আগে পড়ালেখা শেষ করো তারপর ঐগুলি পড়ো। প্রতিনিয়ত সন্তানরা এসব না শুনতে শুনতে ধর্ম বই পড়া, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাবার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তাই সন্তানদের বিহারে যাবার সময় সাথে নিয়ে যান, ধর্ম বই পড়তে উৎসাহিত করুন। দেখবেন সুন্দর জীবন গঠন করবে আপনারই সন্তান, যাকে নিয়ে একদিন আপনার খুবই গর্ব হবে।
সকলের জয় মঙ্গল হউক