নিজস্ব প্রতিবেদক : বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট নাট্য পরিচালক, মঞ্চ অভিনেতা, সমাজসেবক সুখময় চৌধুরী বাবুল আর নেই।
বোয়ালখালী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বৈদ্যপাড়া গ্রামের প্রয়াত দারোগা নরেন্দ্র লাল চৌধুরী ও সুনীতি চৌধুরীর ২য় পূত্র সুখময় চৌধুরী বাবুল।
তিনি সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যে ৬-৪৫ ঘটিকায় নগরীর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে দূরারোগ্য রোগ আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন ।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, ও অসংখ্য গুণগ্রাহী ও আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।
মংগলবার (১২ ডিসেম্বর ) বিকেল ৩ টায় নগরীর নন্দনকাননের চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারে শোকসভা অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকাল ৩ টায় বোয়ালখালী থানাস্হ উনার জন্ম জনপদ বৈদ্যপাড়া গ্রামে অনিত্য সভার মাধ্যমে শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি( যুব) এর সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার বড়ুয়া জানান, তাঁর মৃত্যুতে বৌদ্ধ সমাজ এক বিরল গুণী ব্যক্তিত্ব কে হারাল।তিনি একাধারে নাট্য পরিচালক,শক্তিমান অভিনেতা, প্রমটার,বীর মুক্তিযোদ্ধা,সমাজ সেবক, এক কথায় বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন।সুখময় চৌধুরী বাবুল প্রায় ৫০০ নাটক পরিচালনা করেন।ঢাকা,চট্টগ্রাম, বান্দরবান,রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়িসহ বিভিন্ন অঞ্চলে তাঁর পরিচালনায় নাটকগুলি মঞ্চস্হ হয়।আমার লেখা ৫টি বৌদ্ধ ধর্মীয় নাটক তিনি পরিচালনা করেন। নাটকগুলি হলো- দানবীর বেশ্বান্তর, অজাতশত্রু, সম্রাট অশোক, শম্ভুমিত্র ও পটাচারা।সুখময় চৌধুরী বাবুল এর পরিচালনায় এই নাটকগুলি আমরা বিভিন্ন গ্রামে মঞ্চস্হ করেছি।আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো হারানো এই বৌদ্ধ ঐতিহ্যকে আবার পুনরুজ্জীবিত করা। সুখময় চৌধুরী বাবুল এর সার্বিক সহযোগিতায় আমরা অনেকটা সফল হতে পেরেছি। জানিনা বাবুল মামার অনুপস্থিতিতে আগামীতে আর নাটক করতে পারবো কিনা।কে করবে নাটক পরিচালনা? এতো সুন্দর করে কে বুঝিয়ে দেবে নাটকের সংলাপ বলার কলা কৌশল? কার উপর নির্ভর করে নির্ভাবনায় অভিনয় করবো? এ রকম শত প্রশ্ন মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে।সত্যি বাবুল মামার মৃত্যুতে আমাদের অপুরনীয় ক্ষতি হয়ে গেলো।তাঁর শুন্য আসন কখনও পুরন হবার নয়।
শেয়ার করুন