শুদ্ধ সংগীত চর্চাই আমার সাধনা। ‘সংগীতচর্চার মাধ্যমে নিজেকে একজন স্বনামধন্য শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রাণপণ চেষ্টা করছি। যাতে আজীবন শ্রোতাদের মাঝেই থাকতে পারি। সংগীতের এই বিশাল ভূবনে শিল্পীসত্ত্বা অনেক বড় বিষয়। বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণায় সংগীতাঙ্গনে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করছি। তাইতো শ্রদ্ধেয় ওস্তাদ ও সংগীতগুরুদের কাছে ছোটবেলা থেকে আজোবধি তালিম নিয়ে যাচ্ছি।’ফিজ আপ চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ ২০১৭ প্রতিযোগিতায় সেমিফাইনাল রাউন্ডে থাকা শিল্পী জনি বড়ুয়া সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এ প্রজন্মের জনপ্রিয় এ শিল্পী আরও বলেন, ‘সংগীতাঙ্গন অনেক বড় পরিসর। যেখানে ঠাঁই করে নেওয়া অনেক কষ্ঠসাধ্য। শুদ্ধ সংগীত চর্চাই একজন শিল্পীকে অনেক বড় করে তোলে। এ প্রতিপাদ্যকে লক্ষেই ছোটবেলা থেকে আমি সংগীতচর্চা করে যাচ্ছি। উচ্চাঙ্গ সংগীত থেকে শুরু করে রবীন্দ্র, নজরুল, ফোক, আধুনিকসব সব ধরনের গানের চর্চা অব্যাহত রেখেছি। আজীবন শ্রোতাদের মাঝে থাকতে সংগীতে কিছু করতে চাই।’
শ্রোতা ও শুভ্যানুধ্যায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শিল্পী জনি বড়ুয়া আরও বলেন, ‘আপনাদের দোয়া/আশীর্বাদে এবং সহযোগিতায় চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে একমাত্র প্রতিযোগি হিসেবে স্বনামধন্য মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ইজাজ খান স্বপন পরিচালিত এখন আমি ফিজ আপ চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ-২০১৭ প্রতিযোগিতায় সেমিফাইনাল রাউন্ডে আছি। আমাকে সেমিফাইনাল রাউন্ড থেকে সেরা ১০ এ দেখতে চান, তাহলে অবশ্যই আমাকে এসএমএস করুন। মোবাইলের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে SK <space> jony লিখে পাঠিয়ে দিন 6969 নাম্বারে। যেকোন মোবাইল অপারেটর কোম্পানির সিম থেকে এখন থেকে ফাইনাল রাউন্ড পর্যন্ত যত খুশি ততবার এসএমএস করা যাবে।
উল্লেখ্য, সংগীত পরিবারে বেড়ে ওঠা জনি বড়ুয়া ছোট বেলায় থেকেই সংগীত পিপাসু। বাবা অমল বড়ুয়া ছিলেন একজন বংশীবাদক আর মা শেলী বড়ুয়া ছিলেন রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী। বাবা-মা এবং বড় ভাই স্বনামধন্য যন্ত্রশিল্পী (তবলা ও পারকিউশন) লুকেন বড়ুয়া ববি’র হাত ধরেই সংগীত জগতে পদার্পন।
পরবর্তীতে ওস্তাদ মিহির লালা, আর্য সংগীতের ওস্তাদ ভূপতি স্যার এবং বর্তমানে ওস্তাদ রশীদ খান সংগীত একাডেমীতে ওস্তাদ মনীষ চৌধুরীর কাছে উচ্চাঙ্গ সংগীতের তালিম নিয়েছেন।
বর্তমানে ওস্তাদ সুরবন্ধু অশোক চৌধুরীর কাছে শাস্ত্রীয় সংগীত এবং দেশের স্বনামধন্য গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক অশ্রু বড়ুয়া রুপক’র কাছে বিশেষ আধুনিক গানের গায়কীর তালিম নিচ্ছেন।
চট্টগ্রামের সংগীতাঙ্গনে শিল্পী জনি বড়ুয়া যখন পরিচিত এবং সুনাম ছড়িয়ে পড়ছিল, ঠিক তখনি ২০০৬ সালে তাঁর বাবা পরলোক গমন করেন। তাঁর বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে একজন প্রতিভাবান ও জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী হবে দেশে সুনাম অর্জন করবেন। তাঁরই ধারাবাহিকতায় বাবার স্বপ্নপূরণের শিল্পী জনি বড়ুয়া সংগীতচর্চার মাধ্যমে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নেওয়ার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। ইতিমধ্যে চলতি বছরে চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠখ্যাত প্রতিযোগিতায় ক্যাম্পে রাউন্ড, ডেইঞ্জার জোন পেরিয়ে টপ-১৬ এ অবস্থান করছেন।
শিল্পী জনি বড়ুয়া বাংলাদেশ বেতারের নিয়মিত শিল্পী। পাশাপাশি চট্টগ্রামসহ সারাদেশে গানের ফেরিওয়ালা হিসেবে সংগীত পরিবেশন করে শ্রোতাদের কাছে স্থান করে নিয়েছেন। যা ইতিমধ্যে চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠের বেশ কয়েকটি রাউন্ডে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন এবং শ্রোতাদের মন জয় করেছেন।