রাউজানের নোয়াপাড়া পাইওনিয়ার হাসপাতাল থেকে এক নবজাতককে আদর করার কথা বলে চুরি করে নিয়ে গেছেন ঠাকুরমা সহ স্বজনরা। সিজার অপারেশনের মাধ্যমে সদ্য প্রসূত কন্যা সন্তানকে হারিয়ে পাগল প্রায় মা পপি বড়ুয়া (১৮) অঝোরে কাঁদছেন। পারিবারিক কলহের কারণে প্রবাসী স্বামী ছোটন বড়ুয়ার ঘর ছেড়ে কয়েকমাস ধরে রাঙ্গুনিয়ার পদুয়া ইউনিয়নের শিলকের কুল গ্রামে পিতা দীপাল বড়ুয়ার বাড়িতে থাকছেন গৃহবধূ পপি বড়ুয়া। সন্তানসম্ভবা পপি বড়ুয়াকে গত ২০ নভেম্বর দুপুরে ভর্তি করা হয় রাউজানের নোয়াপাড়াস্থ পাইওনিয়ার হাসপাতালে। সেখানেই সিজার অপারেশনের মাধ্যমে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন পপি। প্রায় দেড় বছর আগে রাউজানের গহিরা ইউনিয়নের মিয়ার ঘাটার দক্ষিণে বড়ুয়া পাড়ার সুলাল বড়ুয়ার ছেলে প্রবাসী ছোটন বড়ুয়ার সাথে বিয়ে হয় পপির। পাইওনিয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ২৪ নভেম্বর বিকেল পাঁচটায় রোগীকে ছাড়পত্র দেন বলে জানান। এর মধ্যে পুত্রবধূর সন্তান জন্মদানের খবরে পেয়ে রাউজানের গহিরা থেকে পাইওনিয়ার হাসপাতালে দেখতে আসেন পপি বড়ুয়ার শাশুড়ি মঙ্গলি বড়ুয়া, ননদ রুমা বড়ুয়া ও স্বামীর বোন জামাই রাজু বড়ুয়া। নবজাতকের মা পপি বড়ুয়া জানান, ছাড়পত্র দেয়ার প্রাক্কালে একজন সিস্টার এসে আমার মেয়েকে নিয়ে যান একটা টিকা দেয়ার কথা বলে। সিস্টার নবজাতককে নিয়ে আসার পথে আমার শাশুড়ি মঙ্গলি বড়ুয়া নাতনিকে আদর করার ছলে কোলে নিয়ে ননদ রুমা ও তার স্বামী রাজুসহ মুহূর্তেই পালিয়ে যান। পপির বাবা দীপাল বড়ুয়া জানান, মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর থেকেই স্বামী বিদেশ থাকায় পারিবারিক কলহের কারণে আমার কাছে নিয়ে আসি। হাসপাতালের অভ্যন্তর থেকে নবজাতককে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কর্তৃপক্ষ কোন উদ্যোগ নেননি বলে তিনি দাবি করেন। পাইওনিয়ার হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভময় দাশ হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির ঘটনা তার জানা নেই বলে দাবি করেন।