1. pragrasree.sraman@gmail.com : ভিকখু প্রজ্ঞাশ্রী : ভিকখু প্রজ্ঞাশ্রী
  2. avijitcse12@gmail.com : নিজস্ব প্রতিবেদক :
বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন

সংগীতাচার্য জগদানন্দ ছিলেন শাস্ত্রীয় সংগীতের উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক

প্রতিবেদক
  • সময় মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৭
  • ৭৭১ পঠিত

চট্টগ্রাম : বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র’র মহাব্যবস্থাপক নাট্যজন মনোজ সেনগুপ্ত বলেছেন, বাংলাদেশের শাস্ত্রীয় সংগীতের পরিমণ্ডলে সংগীতাচার্য জগদানন্দ বড়ুয়া ছিলেন এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক। তিনি ছিলেন সংস্কৃতি চেতনার বাতিঘর, এদেশে সংগীতে পদ্ধতিগত শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে এক পথিকৃৎ পুরুষ। সত্য, সুন্দর আর সুসংগীতের আজন্ম পূজারী উস্তাদ জগদানন্দ বড়ুয়া বাংলাদেশে একটি পরিশীলিত সাংস্কৃতিক বাতাবরণ সৃষ্টির লক্ষে আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। সংগীতাচার্য জগদানন্দ বড়ুয়ার সৃজনে ও সত্ত্বায় প্রমূর্ত ছিল সুসঙ্গীত, সুসংস্কৃতির প্রতি গভীর মমত্ববোধ।

তিনি বলেন, এই কৃতবিদ্য, সংগীতগুরুকে শ্রদ্ধা জানানোর প্রকৃষ্ট উপায় হলো তাঁর সৃষ্ট সঙ্গীতকর্মের নিরলস অনুশীলন, তাঁর সৃষ্টকর্মকে দেশবাসীর কাছে প্রমূর্ত করা। এই প্রসঙ্গে তিনি সংগীতাচার্য জগদানন্দ বড়ুয়ার সৃষ্টিকর্ম বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে পরিবেশনে সচেষ্ট থাকবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি সোমবার সন্ধ্যায় নগরীর ফুলকি স্কুলের এ কে খান স্মৃতি মিলনায়তনে চট্টগ্রাম সংগীত মহাবিদ্যালয় আয়োজিত সংগীতাচার্য জগদানন্দ স্মরণানুষ্ঠান ও বার্ষিক সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে উদ্বোধকের বক্তব্যে উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন।

প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ দীপেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও বাকশিল্পী দিলরুবা খানমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন বরেণ্য সংগীতজ্ঞ ও শিক্ষাবিদ প্রফেসর হাসিনা জাকারিয়া বেলা। বক্তব্য রাখেন নজরুল সংগীত শিল্পী সংস্থার সভাপতি মৃনাল ভট্টাচার্য ও দি চিটাগাং ট্রাস্ট’র মহাসচিব অরুণ মল্লিক। মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে প্রফেসর হাসিনা জাকারিয়া বেলা বলেন সংগীতাচার্য জগদানন্দ বড়ুয়া একজন মহান সংগীতজ্ঞতো ছিলেন-ই, পাশাপাশি তিনি ৩০টির অধিক সংগীতগ্রন্থ প্রণয়ন, আবৃত্তি-নাট্যচর্চা, সাংবাদিকতা ও শিক্ষকতায় এক সব্যসাচী, ঋদ্ধিমান পুরুষ ছিলেন। সংগীতে পদ্ধতিগত শিক্ষাদানে পথিকৃৎ পুরুষ জগদাবাবু সারাদেশে সংগীতে পরীক্ষাগ্রহণকারী সংস্থা ধ্রুব পরিষদ এর মাধ্যমে সংগীতশিক্ষার্থী, সংগীতগুরু, সংগীত শ্রোতাদের মধ্যে এক সৌহার্দ্যের মেলবন্ধন সৃষ্টি করতে সমর্থ হয়েছিলেন। পরে অতিথিবৃন্দ স্থানপ্রাপ্ত শিক্ষাথীদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন।

সংগীতানুষ্ঠানের শুরুতে সংগীতাচার্য জগদানন্দ বিরচিত ত্রিবট পরিবেশন করেন শিল্পী তপা চৌধুরী। এরপর শিক্ষার্থীরা শাস্ত্রীয় সংগীত, নৃত্য, তবলায় লহরা বাদন ও বিভিন্ন পর্যায়ের লোকসংগীত পরিবেশন করেন।

Facebook Comments Box

শেয়ার দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো
© All rights reserved © 2019 bibartanonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themesbazarbibart251
error: Content is protected !!