ভারতের বুদ্ধ ইন্টারন্যাশনাল ওয়েলফেয়ার মিশন কর্তৃক পরিচালিত কলকাতা এবং বুদ্ধগয়া ২টি বিহারের মধ্য বুদ্ধগয়া বিহারে গত ২ নভেম্বর ২০১৭ সাড়ম্বরে শতাধিক দেশী-বিদেশী ভিক্ষুর এবং প্রচুর ধার্মিকের সমাবেশে দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব সুসম্পন্ন হয়।সকাল ১০টায় শ্রীমতি মমতা বড়ুয়া(বাকসাড়া) পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন এবং সভাপতি ভদন্ত দিকপাল মহাথের শীল প্রদান করেন। ধর্মদেশনা প্রদান করেন-প্রধান ধর্মদেশক ভান্তে রত্না মহাথের, সাধারন সম্পাদক ওয়াট পা, ভদন্ত আনন্দ মহাথের, ভদন্ত ড. রতনশ্রী মহাথের, সহযোগিতাকারী তথা দাতাদের এবং ধর্ম সভায় সকলের প্রানবন্ত উপস্থিতির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বি. আর্যপাল (আরিয়াপাল ) ভিক্ষু, সকলের মঙ্গল কামনায় অষ্ট উপকরনসহ সংঘদান করা হয়। সামাজিক এবং ধর্মীয় জীবনে বিশেষ অবদান রাখার জন্য বাবু সায়ন্ত বড়ুয়াকে সম্মাননাসহ ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। দুপুর ১১.৪৫মি. থেকে ১২.৩৫মি. পযর্ন্ত খাবার গ্রহনের সময় সুমধুর কন্ঠে বুদ্ধ সংকীর্তন পরিবেশন করেন বাবু অসীম বড়ুয়া সহ অন্যান্যরা।কীর্তন সহকারে চীবর পরিক্রমার পর দুপুর ১.৩০মি. সোলান্কি বড়ুয়া (শ্রীকান্ত ও সুনন্দা বড়ুয়ার মেয়ে ) উদ্বোধনী নৃত্য, শ্রীমতি সুষমা বড়ুয়ার গান এবং জিনাপাল ও ধর্মদরশী ভিক্ষুর মঙ্গলচারনের মাধ্যমে কঠিন চীবর দান শুরু করা হয়। পঞ্চশীল প্রার্থনা পরিচালনা করেন বাবু আশীষ বড়ুয়া (গড়িয়)। প্রধান ধর্মদেশক ছিলেন ড. কাচ্চায়ন মহাথের, বক্তব্য করেন বাবু প্রনব বড়ুয়া (ইছাপুর) ও বাবু সায়ন্তন বড়ুয়া । ভদন্ত ড. কল্যাণপ্রিয় মহাথের, ভান্তে বিমলা, জিনানন্দ মহাথের। প্রধান অতিথি ছিলেন মহাবোধি মহাবিহার পরিচালনা কমিটির মহাপরিচালক এন. দরজি, সভাপতি ছিলেন ভারতীয় সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার মহামান্য সংঘরাজ, অধ্যাপক, ড. সত্যপাল মহাথের। ধর্মদেশনার পর এবং চীবর উৎসর্গ করার পর সভা সমাপ্ত করা হয়।করুনাপাল ভিক্ষুর পরিচালনায় ফানুস উত্তোলনের মাধ্যমে সান্ধ্যকালীন পূজা করা হয়। বুদ্ধগয়া বিহারে ভারতের সর্ব বৃহৎ সিংহশয্য শায়িত বুদ্ধমূরতি তৈরি করা হবে এবং সকলের আর্থিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।