প্রতি বছর ন্যায় এবারেও রাঙামাটি রাজবন বিহারে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী আকাশ প্রদীপ পূজা। শনিবার বিকেলে রাজবন বিহারের উপাসক-উপাসিকা পরিষদের আয়োজনে রাঙামাটি রাজবন বিহার প্রাঙ্গণে প্রণয় খীসার অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ও রাজবন বিহার কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমীয় খীসার পঞ্চশীল প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় মহা পূণ্যানুষ্ঠান।
ভগবান বুদ্ধের সময়কালে ভগবান বুদ্ধ পরিনির্বাণ প্রাপ্ত হলে সৎ দেবতারা বুদ্ধের কেশ ধাতু আকাশে উড়িয়ে দিয়ে পূজা করেছিল। সেই পূজা অনুসরণ করে শ্রাবক বুদ্ধ শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের অনুপ্রেরণায় রাঙামাটি রাজবন বিহারে আকাশ প্রদীপ প্রজ্জ্বলন পূজা করা হয়। হাজারো পূণ্যার্থীদের পদ চারণায় মুখরিত হয়ে উঠে রাঙামাটি রাজবন বিহার প্রাঙ্গণ। পূণ্যার্থী বাদেও পূণ্যানুষ্ঠানে ভ্রমণ পিপাসু দর্শনার্থীদের মিলন মেলা জমে লক্ষ্য করা যায়।
অনুষ্ঠানে বুদ্ধ মূর্তি দান, হাজার প্রদীপ দান, অষ্টপরিষ্কার দান, বিশ্ব শান্তির প্যাগোডার টাকা দান ও নানাবিধ দান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপাসক ও উপাসিকা পূণ্যার্থীদের পক্ষ থেকে বিশেষ বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি রাজবন বিহারের সভাপতি গৌতম দেওয়ান।
মাসব্যাপী আকাশ প্রদীপ পূজার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাঙামাটি রাজবন বিহারের আবাসিক ও শিষ্য সংঘের প্রধান বিহার অধ্যক্ষ শ্রীমৎ প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবির বলেন, মানুষের পাপ কাজের ফলে মানুষ সুখ ও শান্তি থেকে অনেক দুরে রয়েছে। সে জন্য পাপ কাজগুলো থেকে বিরত থাকতে পারলে সহজে সুখ অর্জন করতে সক্ষম হবে। তিনি আরো বলেন, ভগবান বুদ্ধ গৃহত্যাগের মাধ্যমে পরিনির্বাণপ্রাপ্ত হলে তার কেশ ধাতু অনুমা নদীতে দেবলোক ইন্দ্ররাজার স্থানে দেবতারা পূজা করছিলো। আর সেই কেশ ধাতু পূজা করার অনেক মাহাত্ম রয়েছে। তিনি আরো বলেন, মানুষ যা কিছু পূজা করে সেখানে ভগবান বুদ্ধ রয়েছেন। কেননা তাকে পূজা করে পূজা করলে মানব জাতির মঙ্গল।