বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীসহ বিশ্বের প্রায় ৪০টি দেশের প্রতিনিধি যোগ দিয়েছেন এই শেষকৃত্যানুষ্ঠানে। বৌদ্ধ ধর্ম অনুসারে রাজার শেষকৃত্যের পর ভূমিবলের দেহভস্ম সংগ্রহ করে আনা হবে রাজপ্রাসাদে। এর পর আরো দুদিন চলবে এ অনুষ্ঠান।
স্মর্তব্য, গত বছর মারা যান সুদীর্ঘ সময় ধরে সিংহাসনে থাকা থাই রাজা ভূমিবল।
চিতাটি তৈরি করতে অগণিত স্থপতি, প্রকৌশলী, কারুশিল্পি ও স্বেচ্ছাসেবীরা অংশ নেয়। এর উচ্চতা ৫০ মিটার। সেখানে বিভিন্ন কারুকার্যের মাধ্যমে রাজার জীবদ্দশায় গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। রাজা ভূমিবলের ওই চিতাকে প্রতীকী অর্থে স্বর্গের সাথে তুলনা করা হচ্ছে।
ক্রাসমুছো রত্নাই ছিলেন রাজা ভূমিবলের চিতার প্রধান ভাস্কর। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, চিতাটিতে সকল প্রাণীর মূর্তি পবিত্র হিসেবে বিবেচিত হয়। ভূমিবলের চিতার প্রথম ধাপে প্রাণীর মূর্তি রয়েছে। পশ্চিম দিকে রয়েছে ঘোড়া, উত্তর দিকে রয়েছে হাতি, দক্ষিণে গরু- এ রকমভাবে চিতার চারপাশ সাজানো হয়েছে। প্রতিটি অংশের পেছনে জড়িত রয়েছে ধর্মীয় গল্প বা বিশ্বাস।
বুধবার থেকে রাজার শেষকৃত্যের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। তবে, মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় বৃহস্পতিবার সকালে।
রাজকীয় এই শেষকৃত্যানুষ্ঠান উপলক্ষ্যে গ্র্যান্ড প্যালেসে জড়ো হয়েছেন বিশ্বের ৪০টি দেশের প্রতিনিধিসহ প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। কেউ প্রার্থনায়, আবার কেউ-বা চোখের জলে শেষ বিদায় জানাচ্ছেন প্রিয় রাজাকে। পুরো থাইল্যান্ড জুড়ে গুরুত্বপূর্ণ সব স্থাপনায় শোভা পাচ্ছে রাজা ভূমিবলের ছবি।
বৌদ্ধধর্মের নিয়ম অনুসারে গ্র্যান্ড প্যালেসে স্থানীয় সময় রাত ১০টায় শুরু হবে রাজার শেষকৃত্য অনুষ্ঠান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধান বা তাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন এ সময়। এদিন জাতীয় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে থাইল্যান্ডে।
শেষকৃত্যের পর শুক্রবার রাজা ভূমিবলের দেহভস্ম সংগ্রহ করে রাজপ্রাসাদে নিয়ে যাবেন তাঁর ছেলে, বর্তমান রাজা ভাজিরালংকন। সেখানে রীতি অনুযায়ী আরো দুদিন চলবে নানা আনুষ্ঠানিকতা।
২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবর ৮৮ বছর বয়সে মারা যান রাজা ভূমিবল। ৭০ বছর ধরে রাজ্য শাসন করেছেন তিনি। আধুনিক ইতিহাসে তাঁর শাসনকালই দীর্ঘতম।