বৌদ্ধদের কোনো ধরনের শঙ্কায় ভোগার প্রয়োজন নেই রাজধানীর ২৯তম দানোত্তর কঠিন চিবর দান ও শাক্যমনি বৌদ্ধ বিহারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে এক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আশ্বস্ত করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, “আপনারা ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারবেন কি না তা নিয়ে আপনাদের মাঝে শঙ্কা ছিল, উদ্বেগ ছিল। এই ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত সচেতন, সজাগ যে কোনো অবস্থাতেই রামু বৌদ্ধ বিহারের সেই দুঃস্বপ্নের, সেই বিপর্যয়ের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়।
“আপনাদের নিরাপত্তার জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নয়, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও বলে দিয়েছেন। ভয় পাবেন না। এই দেশ আপনাদেরও।”
যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায় তারা দুর্বৃত্ত, তাদের কোনো দল নেই বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
অনুপ চাকমা বলেন, “মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর এই নির্যাতনের ঘটনায় আমরা বৌদ্ধ সমাজ লজ্জিত। এই ঘটনা নিয়ে আমরাও অস্বস্তিকর অবস্থায় কাটাচ্ছি। এটা আমাদের কাছেও কাম্য নয়।”
বিশ্বব্যাপী ভূ-রাজনীতির কারণে সৃষ্ট বিবাদে ধর্ম ‘অবহেলিত ও উপেক্ষিত’ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন এই কূটনীতিক।
বিষয়টিকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখায় বাংলাদেশের জনগণের প্রশংসা করেন তিনি।
পার্বত্য বৌদ্ধসংঘের সভাপতি ভদন্ত প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরোর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) অনুপ কুমার চাকমা, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তাফা, আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।