চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ভাটিখাইন-ছনহরা সংযোগ সড়কের সেতুটি দীর্ঘ ২০ বছরেও হয়নি। উপজেলার ছনহরা ও ভাটিখাইন ইউনিয়নের অসংখ্য নারী-পুরুষ ও শিশুদের প্রতিদিন দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। বর্তমানে বাঁশের একটি সোঁকা দিয়ে এলাকার লোকজন যাতায়ত করছে। সাঁকোর উত্তরে ভাটিখাইনের ঠেগরপুনি ও দক্ষিণে ছনহরা ইউনিয়নের অনন্ত ৫টি গ্রাম রয়েছে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ভেঙে যাওয়া সেতুটি সরকারিভাবে নির্মাণ করা। তবে ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পূর্বে সাঁকো ভেঙে একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। অভিযোগ ওঠেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে এ সেতুটি নির্মাণের কথা ছিল। তা পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করতে প্যান্ডেল, নামফলক বসানোর জন্য একটি থমও নির্মাণ করা হয় বলে ভাটিখাইন ইউপি মেম্বার নজরুল ইসলাম ও ছনহরা ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জাহিদুল হক জানান, ব্রীজটি নির্মাণ না হওয়ায় এলাকার প্রতিটি নারী-পুরুষকে প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
এলাকাবাসী ও সরেজিমন ঘুরে জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম ভাটিখাইন ও ছনহরা সীমান্তে শ্রীমতি খালের উপর রয়েছে এ বাঁশের সাকোঁ। ২০ বছর আগে এটি জমানো একটি ব্রীজ ছিল। অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে ব্রীজটি ভেঙে খালে পড়ে যায়। এর পর থেকে এলাকার লোকজন মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলে চলাচলের জন্য সাকোঁ নির্মাণ করে। উত্তর ছনহরা টিপি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চিকন খলিফা ছিদ্দিক আহমদ দাখিল মাদ্রাসা, নলিনী কান্ত মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, ভাটিখাইন উচ্চ বিদ্যালয়, ভাটিখাইন এ হাকিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়াও রয়েছে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের তীর্থস্থান ঠেগরপুনি বৌদ্ধ বিহার রয়েছে। এখানে প্রতি সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। এদিকে, বাঁশের সাকো সংলগ্ন ঠেগরপুনি সংযোগ সড়কের প্রায় দেড়শ ফুট রাস্তা কাঁচা থাকার কারণে সিএনজি, রিক্সাসহ কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ছনহরা ইউনিয়নের বাসিন্দা মোরশেদ আলম জানিয়েছেন, তাদের এলাকার বাঁশের সাকোটি নির্মাণের জন্য টেন্ডারও হয়েছিল। এমপি সাহেব এটি উদ্বোধনের জন্য প্যান্ডেল পযন্ত করা হয়। তবে কি কারণে ব্রীজটি আর হয়নি তা জানি না। ভাটিখাইন ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঠেগরপুনি ব্রীজ ২০ বছরেও নির্মাণ না হওয়ায় এলাকার মানুষকে চরমভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ঠেগরপুনি ব্রীজটি টেন্ডার হলেও পরবর্তীতে এটি বাতিল করা হয়।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের পটিয়ার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শফিক বলেন, ঠেগরপুনি ব্রীজ উদ্বোধনের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সয়েলটেস্ট শেষে ব্রীজের ডিজাইন অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে।