এম ধর্মবোধি ভিক্ষু:
যে বৃক্ষ হতে কল্পনা ও ইচ্ছা অনুযারী দ্রব্য পাওয়া যায় তাকে কল্পতরু বলে। বাঁশ বা অন্য অন্য গাছের শাখা ইত্যাদি দিয়ে বৃক্ষের মত মনোরম তৈরি করতে হয়। ফুল অথবা বিভিন্ন রং এর কাগজের মধ্যদিয়ে সাজাতে হবে। তারপর সাজানো বৃক্ষ বা কল্পতরু ইচ্ছা অনুয়ারি দানীয় বস্তু, ভিক্ষু সংঘের ব্যবহার্য সামগ্রী,বিহার উন্নয়নের দ্রব্য সহ নানাবিধ প্রয়োজনিয় সামগ্রী দ্বারা সাজীয়ে তৈরি করাকে কল্পতরু বলে।
জনৈক ভিক্ষু পৃর্বজম্মে “কল্পতরু” দান করে মহাফল লাভ করছিলেন,তিনি অরহৎ হয়ে দিব্য দৃষ্টি দিয়ে তা দর্শন করেছেন। তার সেই পূণ্য কাহিনি স্বীয় মুখে প্রকাশ করেছেন তা সবার অবগতির জন্য সংক্ষেপে প্রকাশ করা হলো।
★★ কল্পতরু দানের ফল বর্ণনা ★★
আমি ভগবান সিদ্ধর্থ বুদ্ধের শেষ্ঠ স্তপর সম্মুখে বিচিত্র বস্রাদি ঝুলিয়ে দিয়ে একটি কল্পতরু স্থাপন করছিলাম, আমার সেই কর্মের ফলে আমি দেব মনুষ্যকুলে যে কোন স্থানে উৎপন্ন হয় না কেন আমার গৃহদ্বারে সর্বদা “কল্পতরু” উৎপন্ন হয়ে শোভা পেত। আমি আমার পরিষদবৃন্দ এবং আমার অন্য অন্য আশ্রিতরা আমরা সকলে সকল প্রকার বস্র গ্রহন করে সর্বদা ব্যবহার করতাম।
আমি চুরানব্বই কল্প পৃর্বে যে কল্পতরু স্থাপন করেছিলাম তৎপূর্ণ ফলে দুর্গতি কি, তা আমি জানি না, এইটা কল্পতরু দানের ফল।
এই হতে সপ্তম কল্প পৃর্বে সুচেল নামক ক্ষত্রিয় হয়ে আটবার জম্মগ্রহন করেছি,সেই আটবার সপ্তরত্ন সস্পন্ন ও সৈন্য সমান্তে মহাপরাক্রমশালী চক্রবর্ত্তী রাজা হয়েছি।
এখন সেই কৃতকর্মের ফলে চতুর্বিধ প্রতিসম্ভিদা অষ্ট বিমোক্ষ ও ষড়বিধ অভিজ্ঞা সম্পন্ন অরহত্ব জ্ঞাল লাভ করেছি।
দায়ক দায়িকাগন তাহলে দেখুন এই কল্পতরু দানের ফল কত মহৎ , মানব জীবন সার্থক করতে হলে ভিক্ষু > গৃহি সকলের কল্পতরু দান করা প্রয়োজন।
সাধু সাধু সাধু