বিবর্তন ডেস্ক: সম্মিলিত বাংলাদেশি বৌদ্ধ সমাজের পক্ষ থেকে মানবতার আহ্বানে এগিয়ে আসার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজা চত্বরে নিউইয়র্কের সম্মিলিত বাংলাদেশি বৌদ্ধ সমাজের উদ্যোগে মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে এই আহ্বান জানানো হয়।
সমাবেশ থেকে প্রবাসের সব ধর্ম বিশ্বাসী সুধীজনের উপস্থিতিতে বিশ্ব মানবতার স্বার্থে সব প্রগতিশীল বিবেকবোধের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বক্তারা। বক্তারা রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সরকারের সেনাবাহিনীর অবর্ণনীয় নিষ্ঠুর আচরণ, হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে দেশত্যাগে বাধ্য করার করুণ চিত্র ও মর্মস্পর্শী বিবরণ তুলে ধরেন। তারা রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাদের পূর্ণ নাগরিক মর্যাদায় সে দেশে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকার এবং জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
মানবিক মূল্যবোধ থেকে এই সংকটজনক পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গারা রাখাইন রাজ্যের মূল ভূখণ্ডের অধিবাসী হিসেবে ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত। যুগ যুগ ধরে বংশ পরম্পরায় রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক। বক্তারা বর্তমানে অস্ত্রবলে নির্বিচারে নারী, পুরুষ, শিশু নিধনের উন্মত্ততা ঘটানোর জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী অং সাং সুচির তীব্র সমালোচনা ও নিন্দা জানান। সমাবেশে বিভিন্ন দেশে মিয়ানমারের দূতাবাসগুলোর সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে প্রতিবাদ ও স্মারকলিপি প্রদানসহ রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন বক্তারা। সুরীত বড়ুয়ার সঞ্চালনায় মানববন্ধন পথসভায় বক্তৃতা করেন স্বপন বড়ুয়া, চিত্ত রঞ্জন সিংহ, সমীরণ বড়ুয়া, সুবীর বড়ুয়া, স্বীকৃতি বড়ুয়া, মোহাম্মদ হোসেন খান, এ কে আজাদ তালুকদার, মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, গাজী শামস উদ্দিন, মোশাররফ খান, এম এস আলম, মোজাহির আনসারী, ডা. মাসুদুর রহমান, আতিকুর রহমান শালু, শাহাব উদ্দিন, এ বি এম সালাহউদ্দিন, হাসান ফেরদৌস, মোশাররাফ হোসেন, মোহাম্মদ ফজলুর রহমান, বেলাল বেগ, সুব্রত বিশ্বাস ও সৈয়দ মোহাম্মদউল্লাহ।
সমাবেশে রোহিঙ্গাদের আশু পুনর্বাসনকল্পে সাত দফা দাবিতে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন প্রকৌশলী রানা বড়ুয়া।