নিজস্ব প্রতিবেদক: বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে শিল্প-সংস্কৃতি-সভ্যতার প্রাণকেন্দ্র ফ্রান্সে প্যারিসের অদুরে বাংলাদেশী বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধদের অন্যতম ধর্মীয় উতসব শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা দিনব্যাপী নানা অনুষ্টানমালায় পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৫।অক্টোবর) সকালে বুদ্ধগয়া প্রজ্ঞা বিহার ধ্যান কেন্দ্রে প্রতিষ্ঠাতা, ভদন্ত প্রজ্ঞাবংশ মহাথের ধর্মীয় দেশনা দেন। এসময় পুজনীয় ভিক্ষু সংঘ উপস্থিত ছিলেন। ফ্রান্সের কুসলায়ন বৌদ্ধ ভাবনা কেন্দ্রে পরিচালক ভদন্ত জ্যোতিসার ভিক্ষু ধর্মীয় দেশনা দেন। বাংলাদেশ সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহারে অধ্যক্ষ শ্রীমৎ বুদ্ধ প্রিয় ভিক্ষু ধর্মীয় দেশনা দেন। ইউরোপিয়ান বুড্ডিস্ট সেন্টারে শ্রীমৎ কে আনন্দ নায়ক থের ধর্মীয় দেশনা দেন।
প্রবারণা পূর্ণিমার পর দিন থেকে প্রতিটি বিহারে বিহারে শুরু হবে পবিত্র কঠিন চীবর দানোৎসব। রবিবার ৮ই অক্টোবর কুসলায়ন বুড্ডিস্ট মেডিটেশন সেন্টারে, ২২ অক্টোবর রবিবার বুদ্ধগয়া প্রজ্ঞা বিহার ধ্যান কেন্দ্রে, ২৯ অক্টোবর রবিবার বাংলাদেশ সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহারে শুভ দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হবে।
দিবসটি উপলক্ষে প্রভাতফেরি, ভিক্ষুসংঘের প্রাতঃরাশ, জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, ভিক্ষুসংঘের পিন্ডদান, শীল গ্রহণ ও প্রদীপ পূজার আয়োজন করা হয়। দিনের শেষে সন্ধ্যায় তীথির মূল আকর্ষণ পবিত্র ফানুস উড়ানো এ পরবাসের ব্যস্ত শহরে। এ এক অন্য রকম আনন্দ। এ আনন্দ যেন দেশীয় সংস্কৃতিকে স্মরণ করে দেয়। আষারী পূর্ণিমা থেকে তিন মাস বর্ষাব্রত পালন করে আশিবনী পূর্ণিমায় পরিসমাপ্তি ঘটে।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, এ পূর্ণিমা তিথিতে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা নিজ কৃত অপরাধ বা পাপ স্বীকার করে পরিশুদ্ধ হয়। ফলে এটি প্রবারণা পূর্ণিমা নামে খ্যাত। এ তিথিতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা আকাশে ফানুস বাতি উড়িয়ে পূজা করে। প্রচলিত আছে গৌতম বুদ্ধের চুল আকাশে ভাসমান। এ চুলের কাছাকাছি পৌঁছতেই ফানুস বাতি উড়িয়ে পূজো করা হয়।