৭১ টিভির সংবাদ পাঠিকা আফসানা শাওন
নশ্বর সুজয়:
বাংলাদেশের ধর্মান্ধ মুসলিম মিডিয়াগুলো বৌদ্ধদের তথা বৌদ্ধধর্মকে হেয় করার জন্যেই উঠেপরে লেগেছে। তারা বিভিন্ন প্রচারনায় বৌদ্ধধর্মকে লক্ষ্য করে ব্যঙ্গ করছে অহরহ। বারবার রোহিঙ্গাদের সমর্থন করতে গিয়ে ধর্মকে টেনে নিয়ে আসছে নিজেদের মনগড়ায় ।
৭১ টিভিতে আজ সন্ধ্যা ০৫: ৪৫ এ সংবাদ পাঠিকা আফসানা শাওন এর পরিধানকৃত শাড়িতে বুদ্ধের ছবি
এছাড়াও দৈনিক কাগজগুলোও ধর্মান্ধ হয়ে রোহিঙ্গা সমর্থনে বারবার বুদ্ধ তথা বৌদ্ধধর্মকে নিজেদের মতোই বিকৃতি করে প্রচারণা চালাচ্ছে।
এতো কিছু করা পরও ক্ষান্ত হয়নি, শেষ পর্যন্ত বুদ্ধদের প্রতিচ্ছবি যুক্ত শাড়ী পরিধান করেই ৭১ টিভির সংবাদ উপস্থাপিকা নিজেদের মহৎ মনের পরিচয় দিল। জানি না কোন মহৎ উদ্দেশ্য তিনি এমন দায়িত্বটি পালন করলেন?
তবে আমি নিশ্চিত যে, আজকে যদি ভারতীয় কোনো টিভি চ্যানেল ইসলামিক কাটুন বা মহাম্মদের প্রতীকিযুক্ত শাড়ী পরিধান করে এমন কিছু করত তাহলে বাংলাদেশর হিন্দুরা এখন কয়েক ডজন কতল হয়ে যেত, কয়েক হাজার হিন্দু ঘরবাড়ি ভস্মিভূত হতো।
সুতরাং এটাই প্রমান করে যে আসলে পৃথিবীতে কারাই সবচেয়ে নোঙ্গরা মনের এবং হীন চরিত্রের।
বাংলাদেশ সরকার ধর্মীয় অবমাননার জন্যে আইন করেছিল তা কি শুধু মুসলিমের জন্যেই?
ইন্ডিয়ার Zee news এর রিপোর্টটি দেখুন, বার্মায় রোহিঙ্গা জঙ্গি ২৮ হিন্দুকে একসাথে গণকবর দিয়েছে।
অথচ এ খবরটি বিবিসি বাংলা সহ বাংলাদেশের টিভি মিডিয়াগুলো বার্মার সেনাদের নাম দিয়ে প্রচার করেছে। (লিংকটি কমেন্ট বক্সে দেওয়া হল)। এছাড়াও উল্ল্যেখযোগ্য বেশকিছু পত্রিকা নিয়মিত লেগেই আছে, বার্মার রোহিঙ্গা ইসু্যটিকে বৌদ্ধধর্মে গায়ে লেপন করতে। বুদ্ধ সহ বৌদ্ধদের নিয়ে যা ইচ্ছে তাই লিখছে। ইচ্ছে মতো ব্যঙ্গাক্ত কার্টুন আঁকছে।
বাংলাদেশের মিডিয়াগুলো পুরো পৃথিবীর খবর রাখে কিন্তু খবর রাখে না কিছু ঐতিহাসিক সত্যের- আরো ১৪০০ বছর আগেই মানবতা লঙ্ঘনকারী পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিটির জন্ম হয়েছিল মরুভূমিতে, যিনিই পুরো পৃথিবীর অশান্তির মূল। যিনি নিজ হাতে হত্যা করেছিল হাজার হাজার নিরহ ইহুদিদের, ধর্ষণ করেছিল শিশুকন্যা সহ শতশত মা বোনদের। দখল করেছিল ইহুদিদের ঘরবাড়ি বাসস্থান।
বৌদ্ধধর্ম সেই অনাদিকাল থেকেই চিরাম্লন, হাজারো উত্থান পতনের মাঝেও বৌদ্ধধর্ম এখন অদ্বিতীয়। বৌদ্ধরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শান্তিপ্রিয় জাতি।
তাই বাংলাদেশীয় মিডিয়া বৌদ্ধধর্মকে ও বুদ্ধকে নিয়ে যতই কুরুচিপূর্ণ প্রচারণা করুক না কেন, বৌদ্ধরা কখনো দেশ ও জাতির ক্ষতির কারণ হবে না। তারা ঘরবাড়িতে আগুন দোকানপাট গাড়ী ভাঙচুর সহ কোনো প্রকার উগ্রতামির পরিচয় দেব না। এমনকি বৌদ্ধ প্রধান দেশগুলোতেও এর জন্যেই কোনো সংখ্যালঘু মুসলিমকে হয়রানির স্বীকার হতে হবে না।
কারণে বৌদ্ধধর্মে জোরপূর্বক ধর্মান্তকরনের দোহাই নেই। নেই কোনো রক্তপাতে স্বর্গীয় হুর লাভের ইস্পৃহা। এখানে যৌনক্ষুধা নিবারণের নিমিত্তে পুত্রবধু সহ ডজনোর্ধ বিয়ে- শিশুকন্যাকেও ভোগ করার ওহীবাণী প্রদত্ত হয়নি। এখানে নারীকে ভোগ করার পর আবক্ষ মাটিতে পূতে ইট পাথর ঢিল ছুড়ে হত্যা করারও বিধান নেই। নেই কোনো জোড়ায় জোড়ায় যৌনদাসী রাখার মহৎ লালসাও। এখানে ধর্মত্যাগীকে হত্যাকরণের আজ্ঞাও নেই। নারীকে শষ্যক্ষেত্র বলে ইচ্ছাধীন কর্ষণ করার সরল ব্যাখ্যায়ও নেই। নেই কোনো খুনের বদলে খুন, নেই কোনো যুদ্ধজয়রে পর গনিমতের মাল লাভের কৌশল। নেই কোনো মতপ্রকাশের প্রতিবন্ধকতা ইত্যাদি ইত্যাদি।
তাই বৌদ্ধরা তোমাদের অপ্রিয়, এখন যেভাবেই হউক বৌদ্ধদের গায়ে কালি লেপন করতে পারলেই হলো। যে কোনো উপায়ে হউক তোমাদের স্তরে নিয়ে আসাটাই মুখ্য।
যতই চাপাচাপি করো কোনো লাভ নেই- বৌদ্ধধর্ম বৌদ্ধধর্ম-ই থাকবে, কখনো তোমাদের ধর্মের মতোই বিশাল বিশাল জগৎখ্যাত উপাধীতে ভূষিত হবেই না।
পুরো পৃথিবী জ্ঞাত, তোমরা কতোই পরিশুদ্ধ সূচি শান্ত প্রকৃতির।
এমন একটি দিন নেই বিশ্বমিডিয়াগুলো তোমাদের নামে ভালবাসার কবিতা লেখে না। টিভি রেডিও খবরের কাগজ যাই বলো না কেন- খোলতেই প্রতিদিন তোমাদের গুণকীর্তন শুনতে হয় । এছাড়াও বিশ্বের প্রথম সারির দেশের এমন কোনো নাগরিক নেই তোমাদের নাম ও পরিচয় শুনলে আনন্দে আত্মহারা হন না।
Khub valo laglo apnar kotata ….budda dhormo ..buddha dhormoi thakbei jotoi lafalafi koruk kno lav nai